December 10, 2025

পুর নিগমের তুঘলকি ফরমানে,শহরে নেট ও ক্যাবল পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে, উদ্বেগ!!

 পুর নিগমের তুঘলকি ফরমানে,শহরে নেট ও ক্যাবল পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে, উদ্বেগ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা পুর নিগমের তুঘলকি সিদ্ধান্তে গোটা রাজধানীতে ফাইবার ইন্টারনেট ও ক্যাবল নেটওয়ার্ক পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে পড়তে চলেছে। গত ৬ ডিসেম্বর পুর নিগমের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই নোটিশটি সোমবার বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হতেই সংশ্লিষ্ট সকল মহলে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এই নোটিশটিতে বলা হয়েছে আগরতলা শহরের মূল অংশে রাস্তায় বিএসএনএল-এর অব্যবহৃত পোস্টগুলি শীঘ্রই সরিয়ে নেওয়া হবে। ফলে ওই পোস্টগুলিতে যেসব ইন্টরনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ও স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরদের ক্যাবল লাইন রয়েছে, সেই ক্যাবলগুলি আগামী তিনদিনের মধ্যে খুলে নেওয়ার জন্য। এই নোটিশ জারি হতেই ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ও স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। সবথেকে বড় প্রশ্ন হলো, তিনদিনের মধ্যে গোটা শহর থেকে ক্যাবল খুলে নেওয়া কিভাবে সম্ভব? শুধু তাই নয়, এটা করতে গেলে গোটা শহরে ইন্টরনেট (ফাইবার) পরিষেবা ও ক্যাবল নেটওয়ার্ক স্তব্ধ হয়ে যাবে। এতে করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে। বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে সংবাদমাধ্যমকে।
নোটিশে বলা হয়েছে, শহরের টিআরটিসি থেকে বি কে চৌমুহনী, বি কে চৌমুহনী থেকে আরএমএস চৌমুহনী, পোস্টঅফিস চৌমুহনী থেকে নেতাজী চৌমুহনী, জ্যাকসন গেট থেকে লায়ন্স গেট, বটতলা থেকে দশমীঘাট, জ্যাকশন গেট থেকে ব্যাঙ্ক চৌমুহনী, গণরাজ চৌমুহনী থেকে পূর্বাশা, মঠ চৌমুহনী থেকে এমবিবি কলেজ, বোধজং স্কুল চৌমুহনী থেকে পাওয়ার হাউস। এই রোডগুলি থেকে নোটিশ জারি হওয়ার তিনদিনের মধ্যে পোস্ট (খুঁটি) গুলি থেকে তাদের সমস্ত ক্যাবল খুলে নিতে। নতুবা চতুর্থ দিন থেকে পুর নিগম থেকে এই খুঁটি এবং ক্যাবল সরিয়ে ফেলবে। এর জন্য পুর নিগম সংশ্লিষ্টদের ক্ষতি ও পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য দায়ী থাকবে না। নিগমের এই তুঘলকি ফরমান জারি হতেই সংশ্লিষ্ট মহলে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।প্রশ্ন উঠেছে তিনদিনের মধ্যে এই কাজ করা কীভাবে সম্ভব? জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল দুপুর দুইটায় ত্রিপুরা ইলেকট্রনিক মিডিয়া সোসাইটির একটি প্রতিনিধি দল মেয়র দীপক মজুমদারের সাথে দেখা করে ডেপুটেশন দেবে। সোসাইটির বক্তব্য, এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাদের কম করে ছয় মাস সময় লাগবে। ছয় মাস সময় তাদের দিতে হবে। পুর নিগমের পক্ষ থেকে মাত্র তিনদিনের সময় দিয়ে আচমকা এমন নোটিশ জারি করা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তাই নয়, পুর নিগম কর্তৃপক্ষ নিজেরা এমন তড়িঘড়ি কোনও কাজ করে কিনা? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *