পুজোর মুখে মেডিকেলে অফার পেলেন ২১৪ জন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পুজোর মুখে শুক্রবার অফার অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেলেন আরও ২১৪ জন ডিজিএমও (জেনারেল ডিউটি মেডিকেল অফিসার)।এর মধ্যে ১৪২ জন পুরুষ এবং ৭২ জন মহিলা রয়েছেন। প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এদিন চিকিৎসক ছাড়াও শিক্ষা দপ্তরের লাইব্রেরিয়ান পদে আরও মোট ১২ জনকে অফার অব অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার প্রদান করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা আনুষ্ঠানিকভাবে মঞ্চে চিকিৎসকদের মধ্য থেকে ৩২ জনকে এবং লাইব্রেরিয়ান পদে মোট সাতজনের হাতে এই অফার অব অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার মাধ্যমে আমরা এখনও পর্যন্ত ডাই-ইন হারনেস সহ মোট ২০ হাজার ৩৬ জনকে সরকারী চাকরি প্রদান করেছি।

যে সব ক্ষেত্রে শূন্যপদ পরে রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে খুব সহসাই পূরণের চেষ্টা চলছে শূন্য পদগুলি। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, সমাজে সাধারণ মানুষকে সঠিক পরিষেবা দেওয়ার উপর চিকিৎসকদের সম্মান নির্ভর করে। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে রোগীরা হচ্ছেন ভুক্তভোগী। তাই চিকিৎসকদের কাজই হচ্ছে তাদের সহ্য করা। আপনাদের ব্যবহার ভালো হলেই আপনারা বিজয়ী হবেন সবসময়। যে কারণে সকলের ব্যবহার ভালো থাকা উচিত। আরও বলেন, অনেক ডাক্তারবাবু রয়েছেন যারা লিজেন্ড ব্যক্তিত্ব। সমাজের জন্য নীরবেই তারা কাজ করে গিয়েছেন। তারাই আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিতা লাভ করতে পেরেছেন। তরুণ প্রজন্মের ডাক্তারাও যাতে ঠিক এভাবেই কাজ করেন এদিন তাই চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীদিনে তিনি রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে আরও বেশি করে চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে বলেও তিনি জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগরতলা সরকারী মেডিকেল কলেজে (এজিএমসি) বর্তমানে ১৫০টি এমবিবিএস এর আসন সংখ্যা রয়েছে। আরও ৫০ আসনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটি বরাদ্দ হলে আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০০টি। এছাড়াও তিনি বলেন, গোটা রাজ্যে মোট ৪০০টি এমবিবিএস আসন রয়েছে। বিডিএস এর ক্ষেত্রে রয়েছে আরও ৬৩টি আসন। ৫০ আসনের বিএসসি নার্সিং হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তার কথায়, সবমিলিয়ে রাজ্যে একটি মেডিকেল হাব করার চেষ্টা চলছে। নবনিযুক্ত চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যাদের কারণে আজ তারা ডাক্তার হতে পেরেছেন, মা-বাবা, ভাই-বোন, অভিভাবকদের সবার কথাই মনে রাখতে হবে আপনাদের।
লাইব্রেরিয়ান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে লাইব্রেরিয়ানের পদে স্বল্পতা ছিলো। নতুন করে লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগের ফলে কিছুটা হলেও এই সমস্যা নিরসন হবে। তিনি মনে করেন, লাইব্রেরি সম্পর্কে বিশেষ ভূমিকা থাকে লাইব্রেরিয়ানদের। এমনকি শিক্ষকদের থেকে লাইব্রেরিয়ানদের দায়িত্ব কোনও অংশে কম নয়। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা সাজু ওয়াহিদ এ, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. নির্মল সরকার, এজিএমসির অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপ কুমার সাহা, শিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।