September 14, 2025

পুজোর মুখেও মেরামত নেই,স্মার্ট সিটির রাস্তায় যত্রতত্র বড় বড় গর্তে মরণফাঁদ!!

 পুজোর মুখেও মেরামত নেই,স্মার্ট সিটির রাস্তায় যত্রতত্র বড় বড় গর্তে মরণফাঁদ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা স্মার্ট সিটি অথরিটির কাজ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ-দুর্ভোগের শেষ নেই। পুরো আগরতলা শহরজুড়ে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র কভার ড্রেন নির্মাণের নামে রাস্তা কেটে রাখায় ও রাস্তার উপর ড্রেনের মাটি-কাদা ফেলে রাখায় এখন পুজোর মুখে মানুষের দুর্ভোগ আরও চরমে পৌঁছেছে। শুধু বাড়িঘর নয়, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সামনে ও যত্রতত্র ড্রেন কেটে রাখায় ও এবড়োখেবড়োভাবে মাটি ও কাদা ফেলে রাখায় ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই পড়েছেন অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা ও পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার ক’দিন আগে পূর্ত দপ্তর ও স্মার্ট সিটি অথরিটিকে বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেন পুজোর সময় এসে যাওয়ায় খুব দ্রুত রাস্তা সংস্কার করে মানুষ ও যানবাহন যাতায়াতের উপযুক্ত করে দেওয়া হোক। মেয়র এক ধাপ এগিয়ে বেশ ক’দিন আগেই স্মার্ট সিটি অথরিটিকে জানিয়ে দেন কভার ড্রেন নির্মাণের কাজ এখন বন্ধ রাখার জন্য। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হল মুখ্যমন্ত্রী ও মেয়রের কথামতো পুজোর মুখে স্মার্ট সিটি অথরিটি কভার ড্রেনের মাটি কাটা যেমন এখনও বন্ধ রাখেনি, তেমনি রাস্তা সংস্কারের কাজেও হাত দেয়নি। এমন অভিযোগ করছেন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাগরিকরা। শুধু শহর নয়, আগরতলা জুড়ে যত্রতত্র বিভিন্ন রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে থাকায় মরণ ফাঁদে পরিণতি হয়ে রয়েছে। আগরতলা জুড়ে এমন কোন রাস্তা বাকি নেই যে বড় বড় গর্ত হয়ে যাতায়াতের অনুপযুক্ত হয়ে রয়েছে। সর্বত্র সব রাস্তায় গত দু’তিন মাস ধরেই বা আরও বেশি সময় ধরে রাস্তা জুড়ে বড় গর্তে মরন ফাঁদ হয়ে রয়েছে। যানবাহনের চাকা বড় বড় গর্তের মধ্যে পড়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে।মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। আবার গুরুতরভাবে আহতও হচ্ছেন। কিন্তু স্মার্ট সিটি অথরিটি ও পূর্ত দপ্তর এই বিষয়ে পুরো উদাসীন ও নির্বিকার বলে অভিযোগ। বেহাল রাস্তা মেরামত না করায় তাতে মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ কেবল বাড়ছে। এদিকে ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী থেকে শুরু করে কের চৌমুহনী, দুর্গা চৌমুহনী, বড়জলা হয়ে পঞ্চবটী পর্যন্ত রাস্তার করুণ দশায় মানুষের দুর্ভোগ- কষ্ট যন্ত্রণা কেবল বাড়ছেই। এই রাস্তা জুড়েও কেবল যত্রতত্র বড় বড় গর্ত হয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। যানবাহন যাতায়াতে দুঘটনাও ঘটছে। এই রাস্তা দিয়ে শহর থেকে বিমানবন্দর যাতায়াতে ভালো সুবিধা থাকলেও রাস্তার করুণ দশায় সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা খুব কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিকাদার সংস্থা কাজ ধরেও মাঝপথে রাস্তা নির্মাণ ও রাস্তার দু’পাশে কভার ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে রাখায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গত তিন বছর ধরে ঠিকাদার সংস্থা মর্জিমাফিক কাজ করছে। কখনও রাস্তা ও কভার ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখছে, কখনও রাস্তার কাজ শুরু করেও মাঝপথে কাজ অর্ধসমাপ্ত করে ফেলে রেখেছে। স্মার্ট সিটির তরফে রাস্তা ও রাস্তার দু’ পাশে কভার ড্রেন নির্মাণের কাজ তিন বছর আগে শুরু হয়। কিন্তু ঠিকাদার সংস্থা দেড় বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তিন বছরেও সামান্য কাজও শেষ হয়নি। তারপর স্মার্ট সিটি অথরিটির উদাসীনতা ও নির্বিকার ভূমিকায় সকলের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শনিবার স্মার্ট সিটির এক এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনীয়ার জানান, আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস চৌমুহনী থেকে পঞ্চবটী পর্যন্ত সব গর্ত ভরাট করে রাস্তা মেরামত করে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *