দেশি-বিদেশিদের উপচে পড়া ভিড়,আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জম্পুই!!
পড়াশোনা লাটে, ক্ষুব্ধ ছাত্র-অভিভাবক,শিক্ষা দপ্তরে লাগামছাড়া দুর্নীতি বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষকরা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-সমগ্র শিক্ষায় একাংশ আধিকারিক কর্মী লুট বাণিজ্য চালালেও সমগ্র শিক্ষার অধীনস্থ শিক্ষকদের বেতন নেই। সিপাহিজলা জেলায় এখন পর্যন্ত সমগ্র শিক্ষার অধীনস্থ শিক্ষকদের বেতন হয়নি। এ নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা। সোমবার শিক্ষকদের এক প্রতিনিধি দল এই ইস্যুতে জেলা শিক্ষা আধিকারিকের সাথে দেখা করে এমর্মে তার কৈফিয়ত তলব করেন। কিন্তু জেলা শিক্ষা আধিকারিক কবে নাগাদ বেতন হবে এর স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।
একদিকে সমগ্র শিক্ষায় চলছে হরির লুট। একাংশ বামপন্থী আধিকারিক, ওএসডি, কর্মী সমগ্র শিক্ষাকে অবৈধ অর্থ রোজগারের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। কেনা কাটায় ব্যাপক আগ্রহ এই সমস্ত কর্মী আধিকারিকদের। কেননা যত কেনাকাটা হবে ততই কমিশন বাণিজ্য স্ফীত হবে। ফলে তাদেরও উদর স্ফীত হবে। এ কারণে সমগ্র শিক্ষায় এখন সেন্ট্রালি সমস্ত কেনাটাকায় মনোনিবেশ করেছে দপ্তর। অভিযোগ হচ্ছে, এ কাজে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী মহাকরণে বসা শিক্ষা দপ্তরের সর্বোচ্চ এক বিশেষ আমলা। তিনিই শিক্ষা দপ্তরের শেষ কথা বলে খবর। তার আশ্রিত সমগ্র শিক্ষায় এখন দুই পেটোয়া কর্মীর জন্ম হয়েছে বলে খবর। সমগ্র শিক্ষায় কান পাতলেই শোনা যায় যে র-মা জুটি সমগ্র শিক্ষার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছে।বেজায় কমিশন বাণিজ্যে লিপ্ত এই র-মা জুটি বলে অভিযোগে প্রকাশ। তাদের দোসর এক ডিডিও। এই ত্রয়ীর দৌলতে এখন সমগ্র শিক্ষায় নাকি চলছে লুট বাণিজ্য। অন্যদিকে শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না। একেই তো শিক্ষকরা ঠিকা কর্মী। বেতনই সার তাদের। নেই কোনো ভবিষ্যৎ। দুইবার হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষে রায় দিলেও সরকার সেই রায়কে মান্যতা দেয়নি। উল্টো সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা ঠেলে দিয়েছে। ফলে অসহায় অবস্থায় সমগ্র শিক্ষার অন্তর্গত শিক্ষকরা। সিপাহিজলা জেলার শিক্ষকরা নভেম্বর মাসের বেতন না পেয়ে চরম হতাশ। বারবার যোগাযোগ করেও তারা ব্যর্থ হচ্ছেন। অবশেষে তারা সোমবার জেলা শিক্ষা আধিকারিক কণিকা দেববর্মার সাথে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু আজও বেতন হয়নি সিপাহিজলাতে।একদিকে সমগ্র শিক্ষা মিশনে চলছে কমিশন বাণিজ্য, অন্যদিকে শিক্ষকরা পাচ্ছেন না বেতন। অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সমগ্র শিক্ষকার শিক্ষকরা।