October 24, 2025

নিম্নমানের ড্রেস স্কুলে স্কুলে,বড়সড় ঘোটালার অভিযোগ সমগ্র শিক্ষায়!!

 নিম্নমানের ড্রেস স্কুলে স্কুলে,বড়সড় ঘোটালার অভিযোগ সমগ্র শিক্ষায়!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের সরকারী
স্কুলগুলিতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের স্কুল ড্রেস সরবরাহ নিয়ে বড়সড় ঘোটালা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এত নিম্নমানের কাপড় দেওয়া হয়েছে যে, ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা প্রতিদিন স্কুলগুলিতে এসে দরবার করছেন। অভিযোগ করছেন। কিসের ভিত্তিতে আগাম কোনরকম মাপ ছাড়া স্কুলগুলির ছাত্রছাত্রীদের ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে বিস্ময়। ফলে বহু ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন স্কুলে এসে ড্রেস ফেরত দিয়ে যাচ্ছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো সদুত্তর দিতে পারছে না। কারণ তাদের কাছে কোনো উত্তর নেই।স্কুলগুলিতে বহু হাত ঘুরে ড্রেসগুলি পৌঁছেছে।এতদিন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সমগ্র শিক্ষার ফান্ডের মাধ্যমে ড্রেস কেনার জন্য টাকা দেওয়া হতো।এবারই প্রথম শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি সময় এসে শিক্ষা দপ্তরের ছাত্রছাত্রীদের ড্রেস দেবার কথা মনে পড়েছে। এছাড়া এবারই প্রথম তিন ধরনের ড্রেস করা হয়েছে। পিএম শ্রী বিদ্যালয়ের জন্য এক ধরনের ড্রেস, বিদ্যাজ্যোতি স্কুলের জন্য এক ধরনের ড্রেস এবং সাধারণ স্কুলের জন্য আরেক ধরনের ড্রেস পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, দেশের নামকরা একটি কাপড় প্রস্তুতকারী কোম্পানির সাথে শিক্ষা দপ্তর এক্ষেত্রে ডিল করেছে। এর পেছনে যে বড়সড় কমিশন বাণিজ্য কাজ করেছে তা শিক্ষা দপ্তরে কান পাতলেই শোনা যায়। সম্প্র শিক্ষায় এখন শুধুই চলছে কমিশন বাণিজ্য। আর এতে কিছু কর্মী, আধিকারিক একেবারে ফুলেফেঁপে ওঠছে বলে অভিযোগ।
বর্তমানে সমগ্র শিক্ষায় চলছে কলিযুগ। দপ্তরে এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে। তার দোসর হয়ে আছে সমগ্র শিক্ষার দুই চুক্তিভিত্তিক কর্মী যাদের বেতন কিনা গ্রুপ-এ’র সমতুল্য।এই র-মা জুটির সবচেয়ে বড় মাথা হচ্ছে মহাকরণে বসা শিক্ষা দপ্তরের এক বিশেষ আমলা। মূলত সমগ্র শিক্ষায় সব কিছুই মূলত তারা নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ। আর এতে যে কমিশন বাণিজ্য যুক্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্কুলে স্কুলে ড্রেস সরবরাহেও বড় রকমের কমিশন বাণিজ্যের ডিল হয়েছে বলেই দপ্তরের কর্মচারীদের বক্তব্য। আর এতে কালী, র-মা ছুটি এবং মহাকরণের বিশেষ আমলার ব্যাপক হাত রয়েছে বলে দপ্তরের কর্মচারীদের বক্তব্য। দপ্তরের কর্মচারীদের আরও বক্তব্য এ বারের স্কুল ড্রেস সরবরাহ বাবদ কমপক্ষেও কয়েক কোটির ঘোটালা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী তা জানেন কিনা। এত নিম্নমানের ড্রেস স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যে সরবরাহ করা হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে রয়েছে কিনা? দপ্তরের যে আমলারাজ পুরোপুরি জাঁকিয়ে বসেছে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে স্কুলে এই ড্রেস সরবরাহ।একদিকে নিম্নমানের ড্রেস অন্যদিকে কোনোরকম সাইজ ছাড়া ছাত্রছাত্রীদের তা দেওয়া হচ্ছে। মর্জিমাফিক ছাত্রছাত্রীদের সাইজ কী হবে তা মেমো জারি করে বর্ণনা করা হেেয়ছ কোন ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের কোন সাইজের সার্ট, প্যান্ট কিংবা স্কার্ট দেওয়া হবে। মেয়েদের স্কার্ট এমন – ডিজাইনের করা হয়েছে যে প্রতিটি অভিভাবকদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফের ডিজাইন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষাবর্ষের মাঝপথে এসে ছাত্রছাত্রীদের যে ড্রেস দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে এবারের জন্য ড্রেসে ছাড় রয়েছে।অর্থাৎ পুরোনো ড্রেস এবার স্কুলে চলবে।তবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে নয়া ড্রেসই বাধ্যতামূলকভাবে সব ছাত্রছাত্রীকে পরিধান করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *