September 9, 2025

ধান খেতে মাজরা পোকার আক্রমণ, কৃষকরা দিশাহারা!!

 ধান খেতে মাজরা পোকার আক্রমণ, কৃষকরা দিশাহারা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পোকার আক্রমণ খেতের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।পোকার আক্রমণের ফলে ধান গাছগুলি লাল হয়ে যাচ্ছে।কুমারঘাট মহকুমা এবং লংতরাইভ্যালি মহকুমা এবং লংতরাইভ্যালি মহকুমা এলাকার ধান খেতগুলিতে এই পোকার আক্রমণে ইতিমধ্যে বেশ ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধান খেতে পোকার আক্রমণের ফলে কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছে। কৃষি দপ্তর থেকে এই পোকার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য নেওয়া হচ্ছে না কোন পদক্ষেপ। কৃষি আঞ্চলিক অফিসগুলিও নেই কোনো কীটনাশক ওষুধ। কৃষকরা খোলা বাজার থেকে ওষুধ কিনে ধান খেতে দিলেও পোকার আক্রমণ প্রতিহত করা যাচ্ছে না। বর্তমান সময়ে কৃষকরা জমিতে আমন ধান করেছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধান গাছে ধানের ছড়া আসতে শুরু করবে। কুমারঘাট মহকুমা এলাকার সোনাইমুড়ি সায়দারপার কৃষ্ণনগর রাধানগর তরণীনগর কাঞ্চনবাড়ি ইত্যাদি গ্রামগুলিতে আমন ধানের বেশ ভালো চাষ হয়।কৈলাসহর মহকুমার অধীন চণ্ডীপুর এলাকায়ও আমন ধানের বেশ ভালো চাষ হয়।
ইতিমধ্যেই কোনো কোনো ধান খেতে ধানের ছড়া আসতে শুরু করেছে। কিন্তু কুমারঘাট মহকুমা চণ্ডীপুর ব্লক এলাকায় বেশ কিছু ধান গাছে পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। ফলে ধান গাছগুলি লাল হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা জানান ধান গাছ লাল হয়ে যাওয়ার কারণে যে পরিমাণে ধানের ছড়া আসার কথা সেই পরিমাণে ধানের ছড়া আসছে না। আবার কোনো কোনো গাছে ধানের ছড়া আসছেই না। কৃষকরা ধান গাছের এই সমস্যা নিয়ে কৃষি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও কোনো সুরাহা তারা পাচ্ছে না। তাছাড়া কৃষি দপ্তর থেকে দেওয়া হচ্ছে না কোনো কীটনাশক ওষুধ।ফলে কৃষকরা খোলা বাজার থেকে ওষুধ কিনছে।কিন্তু ওষুধেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই চণ্ডীপুর ও কুমারঘাট ব্লক এলাকার বেশ কিছু জমিতে এই পোকার আক্রমণে ধান খেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। লংতরাইভ্যালি মহকুমার মনু ব্লক এলাকার করমছড়া নাইথুংছড়া শিববাড়ি মাছলি ইত্যাদি এলাকার ধান খেতে এই পোকার আক্রমণ ঘটছে। জনৈক কৃষি দপ্তরের আধিকারিক জানান,এই সময়ে ধান গাছ যে পোকায় আক্রমণ করে সেই পোকার চলিত ভাষা নাম হলো মাজরা পোকা। আর এই পোকাকে প্রতিহত করার জন্য কীটনাশক ওষুধ হলো ক্লোরোসাইফার। এই কীটনাশক ওষুধগুলি দপ্তর থেকে কৃষকদের দেওয়া হয় না। কৃষকরা খোলা বাজার থেকে এই কীটনাশক ওষুধগুলি ক্রয় করতে হয়।এদিকে কৃষকরা জানায়, তারা খোলাবাজার থেকে যে ওষুধ এনে ধানগাছে দিচ্ছে তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী কৃষকদের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে বলে দাবি করে থাকেন। এই সরকার কৃষক বন্ধু সরকার হিসাবেও বলা হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে কৃষকরা সাধারণ কীটনাশক ওষুধ দপ্তর থেকে পায়না। অনেক কৃষক রয়েছেন যারা খোলাবাজার থেকে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে কীটনাশক ওষুধ ক্রয় করে ধান গাছে দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কুমারঘাট মহকুমা লংতরাইভ্যালি মহকুমা এলাকায় ধান গাছে পোকার আক্রমণ ঘটলেও কৃষি দপ্তরের নেই কোনো হেলদোল। ফলে কৃষকরা পড়েছে বিপাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *