October 25, 2025

দ্বিতীয় উড়ালপুল, টেকনিক্যাল বিড স্ক্রুটিনি চলছে শীঘ্রই খুলবে ফিনান্সিয়াল বিড!!

 দ্বিতীয় উড়ালপুল, টেকনিক্যাল বিড স্ক্রুটিনি চলছে শীঘ্রই খুলবে ফিনান্সিয়াল বিড!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজধানী আগরতলার বহুল আলোচিত দ্বিতীয় উড়ালপুল নির্মাণ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। আইজিএম চৌমুহনী থেকে সার্কিট হাউজ আইল্যান্ড পর্যন্ত প্রস্তাবিত উঁচু রাস্তা (এলিভেটেড করিডর) নির্মাণের এই প্রকল্পের টেন্ডার মূল্য প্রায় ৪০৭.৩৫ কোটি টাকা।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের প্রযুক্তিগত দরপত্র (টেকনিক্যাল বিড) খোলা হয়েছে। পূর্ত দপ্তরের আগরতলা ডিভিশন-১ এর তত্ত্বাবধানে মোট সাতটি সংস্থা এই দরপত্রে অংশ নিয়েছে। এরপর থেকে টেন্ডার নথিগুলি পাঠানো হয়েছে মুখ্য বাস্তুকারের অফিসে, যেখানে প্রকল্পের জন্য গঠিত বিশেষ স্ক্রুটিনি কমিটি বর্তমানে সমস্ত নথি পরীক্ষা ও মূল্যায়নের কাজ করছে।
দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কমিটি প্রতিটি সংস্থার কারিগরি দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, আর্থিক যোগ্যতা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা বিস্তারিত যাচাই করছে। যেসব সংস্থা এই টেকনিক্যাল স্ক্রুটিনিতে যোগ্যতার – মাপকাঠি পূরণ করবে শুধুমাত্র তাদেরই আর্থিক দরপত্র (ফিনান্সিয়াল বিড) খোলা হবে। ফিনান্সিয়াল বিডে সর্বনিম্ন দরদাতা সংস্থাই শেষ পর্যন্ত এই কাজের দায়িত্ব পাবে। দপ্তর সূত্রের অনুমান, প্রায় এক মাস পেরিয়ে যাওয়ায় স্ক্রুটিনির কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং খুব শীঘ্রই ফিনান্সিয়াল বিড খোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রস্তাবিত এই উড়ালপুরের দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার, যা আগরতলার ব্যস্ততম রুটগুলির মধ্যে অন্যতম। সরকারের মতে, শহরের ক্রমবর্ধমান যানবাহনের চাপ সামলাতে এটি একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোগ। তবে নাগরিক সমাজের একাংশ এবং ট্রাফিক বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন, যখন শহরের বর্তমান পিক আওয়ারে যানচাপ এখনো ১,০০০ পিসিইউ (প্যাসেঞ্জার কার ইউনিট) অতিক্রম করেনি, তখন এত বড় ব্যয়বহুল প্রকল্প কতটা প্রয়োজনীয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে শহরের গড় যানচাপ প্রায় ৭৫০ পিসিইউ। আন্তর্জাতিক মানে ফ্লাইওভার নির্মাণের যৌক্তিক সীমার নিচে। তাদের পরামর্শ, সিগন্যাল সিঙ্কোনাইজেশন, একমুখী ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং গণপরিবহণ বাড়িয়ে স্বল্প ব্যয়ে তাৎক্ষণিক সমাধান সম্ভব।
পূর্ত দপ্তরের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক বলেন, এটি শুধু আজকের নয়, আগামী দশকের জন্য পরিকল্পিত পরিকাঠামো উন্নয়ন। আগরতলার যানবাহন সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আগামী দিনে বড় চাপ সামলাতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।
একদিকে টেন্ডার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে প্রশাসনিক নিয়মে। অন্যদিকে শহরে বাড়ছে আলোচনা ও প্রশ্ন। দরপত্র যাচাই শেষ হলেই খোলা হবে আর্থিক বিড এবং সম্ভবত নভেম্বরের মধ্যেই জানা যাবে কোন সংস্থা আগরতলার এই অনুমিত ৪০৭ কোটি টাকার উড়ালপুল নির্মাণের দায়িত্ব পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *