দেশি-বিদেশিদের উপচে পড়া ভিড়,আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জম্পুই!!
দ্বিতীয় উড়ালপুলের বিকল্প রুট নিয়ে জল্পনা!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজধানী আগরতলার বহুল আলোচিত দ্বিতীয় উড়ালপুল প্রকল্প নিয়ে আবারও গুঞ্জন। টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দুই মাস পার হলেও এখনও খোলা হয়নি ফিনান্সিয়াল বিড। সরকার ও পূর্ত দপ্তর উভয় সূত্রই বলছে, টেকনিক্যাল বিডের স্ক্রটিনি চলছে। কিন্তু বিভিন্ন মহলে জোরালো হয়েছে সন্দেহ। সরকার কি তবে দ্বিতীয় উড়ালপুল নির্মাণে এখনই হাত দিতে চাইছে না?
আইজিএম চৌমুহনী থেকে সার্কিট হাউস আইল্যান্ড পর্যন্ত প্রস্তাবিত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড করিডরের টেন্ডার মূল্য ৪০৭.৩৫ কোটি টাকা। পঁচিশ সেপ্টেম্বর খোলা হয়েছিল প্রযুক্তিগত (টেকনিক্যাল বিড) দরপত্র। পূর্ত দপ্তরের আগরতলা ডিভিশন-১-এর তত্ত্বাবধানে মোট সাতটি সংস্থা এতে অংশ নেয়। নথি পাঠানো হয়েছে মুখ্য বাস্তুকার অফিসে। সেখানে গঠিত বিশেষ স্ক্রুটিনি কমিটি নির্মাণ সংস্থাগুলির দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, আর্থিক যোগ্যতা ও প্রকল্প গ্রহণক্ষমতা যাচাই করছে বলে দপ্তর সূত্রের দাবি।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, দুই মাসেও স্ক্রুটিনি শেষ না হওয়ার কারণ কী? পূর্ত দপ্তরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাচ্ছে, প্রকৃত সমস্যাটা অন্যত্র। এই উড়ালপুলের বর্তমান অ্যালাইনমেন্টে বহু ঘরবাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে।এতে শহরের নান্দনিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে সরকারও তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে এগোতে চাইছে না।
অন্যদিকে পূর্ত দপ্তরের উচ্চপদস্থ একটি মহল জানাচ্ছে, সরকার বিকল্প পথও ভাবছে।সূত্রের মতে, অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের একাংশ এখন নতুন অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তনের চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। প্রস্তাবিত রুটের বদলে ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী থেকে দুর্গা চৌমুহনী হয়ে বীরেন দত্ত সেতুর ডানদিকে মোড় নিয়ে কাটাখালের উপর দিয়ে উড়ালপুল নির্মাণের সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এভাবে গেলে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙার সংখ্যা অনেক কমবে। ক্ষতিপূরণ এবং নির্মাণ ব্যয়ও কম হবে।ঐতিহাসিক আগরতলার মূল কেন্দ্র কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।পরিকল্পনা অনুযায়ী কাটাখালের উপর দিয়ে উড়ালপুল এগিয়ে আস্তাবল ব্রিজের কাছে বাঁদিকে ঘুরে পৌঁছাবে প্রস্তাবিত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকায়।
তুলনামূলকভাবে এই পথে কম ক্ষতি হবে। কারণ বর্তমানে ঘোষিত অ্যালাইনমেন্টে আরএমএস চৌমুহনী থেকে রাজবাড়ির উত্তর গেট পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ ভাঙাচোরা ও ক্ষতি অনিবার্য।ফলে এখন শহরবাসীর মধ্যে জোর গুঞ্জন, সরকার কি তবে দ্বিতীয় উড়ালপুল প্রকল্পের রুট পাল্টাতে চলেছে? একদিকে টেন্ডার চলছে ধীরগতিতে। অন্যদিকে প্রকৌশলী মহলে বিকল্প অ্যালাইনমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত আলোচনা। এতে স্পষ্ট, টেন্ডার ডাকা হলেও আগরতলার বহুল আলোচিত প্রস্তাবিত দ্বিতীয় উড়ালপুল নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি।