August 2, 2025

দৈত্যাকার হাঙরের মুখ থেকে ছেলেকে বাঁচালেন বাবা!!

 দৈত্যাকার হাঙরের মুখ থেকে ছেলেকে বাঁচালেন বাবা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাবার সঙ্গে বোটে মাছ ধরতে সমুদ্রে গিয়েছিল ষোলো বছরের নাথান।কখন যেন আপন মনে নৌকা থেকে সে নিজের একটা পা ঝুলিয়ে দিয়েছিল জলের দিকে।আর তখনই বিপদ! দৈত্যাকার সাদা একটা হাঙর চলে আসে তার নৌকার সামনে। তা দেখে উৎসাহিত কিশোর মোবাইল বের করে হাঙরের ভিডিয়ো করতে শুরু করে। সেই অনবধানতায় সাদা হাঙর (গ্রেট হোয়াইট শার্ক) সপাটে কামড়ে ধরে কিশোরের পা। হাঙরের পেটে চলে যাওয়ারই কথা ছিল।ছেলেকে বাঁচাতে হাঙরের সঙ্গে অসম লড়াই শুরু করলেন বাবা। রীতিমতো ঝাপটাঝাপটি করে হাঙরের মুখ থেকে ছেলেকে বাঁচিয়ে আনলেন তিনি। তড়িঘড়ি সৈকতে উঠে এসে রক্তাক্ত ছেলেকে নিয়ে বাবা ছুটলেন সোজা হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নাথানের চিকিৎসা চলছে। তবে অবস্থা স্থিতিশীল।
ঘটনাস্থল দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া। স্থানীয় নিউজউইক সংবাদমাধ্যমে সবিস্তারে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিরার ঘটলেও ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার। ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার সমুদ্রোপকূল থেকে দুই মাইল দূরে পুত্র নাথান নেসকে নিয়ে নৌকা করে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন মাইকেল নেস। সেই সময় তাদের নৌকার অদূরে একটি সাদা হাঙর দেখতে পায় নাথান। কাছ থেকে বিশালাকার সেই প্রাণীকে দেখে অত্যুৎসাহী হয়ে পড়েছিল সে। মোবাইলে সেই হাঙরের ছবি এবং ভিডিয়ো করতে শুরু করে। তখনই হাঙরটি হামলা চালায়। নাথানের পা ধরে টেনে নিয়ে যায় হাঙরটি। এই দৃশ্য দেখে পুত্রকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন বাবা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মাইকেল বলেন, ছেলেকে হাঙরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, চোখের নামনে এ দৃশ্য দেখে শরীরের রক্ত হিম হয়ে গিয়েছিল। মাথা কাজ করছিল না। তবে এক মুহূর্ত দেরি না করে জলে ঝাঁপ দিই। তার পর হাঙরের সঙ্গে অসম লড়াই শুরু করি। আমিও ছাড়বার বান্দা ছিলাম না। শেষ পর্যন্ত একেবারে যমের নখ থেকে ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসি। মাইকেল দাবি করেন, নাথানের পা
হাঙরের চোয়ালের মাঝে আটকে ছিল।তিনি সোজা হাঙরের চোয়ালেই ঘুষির পর ঘুষি মারতে শুরু করেন।তার পরই হাঙরটি নাথানকে ছেড়ে দেয়।পুত্রকে বাঁচাতে বেশ কিছু ক্ষণ ওই ‘জলদানব’-এর সঙ্গে লড়াই চালিয়েছিলেন বলে দাবি মাইকেলের।
নাথানের পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নিজের নৌকায় নিয়ে আসেন মাইকেল। তার পর উদ্ধারকারীদের খবর দেন। নাথানকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *