September 17, 2025

দেশে বেকারত্বের হার ৪.১% ৩% নিয়ে ত্রিপুরা সপ্তম স্থানে!!

 দেশে বেকারত্বের হার ৪.১% ৩% নিয়ে ত্রিপুরা সপ্তম স্থানে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত সহ মোট সাঁইত্রিশটি রাজ্যের মধ্যে বেকারত্বের হার সবথেকে কম সিকিমে।এই রাজ্যে বেকারত্বের হার মাত্র ১.৬ শতাংশ।বেকারত্বের হার সবথেকে বেশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপে ১৭.২ শতাংশ।ডবল ইঞ্জিন সরকার পরিচালিত ত্রিপুরা রাজ্যে বেকারত্বের হার তিন শতাংশ।বেকারত্বের নিরিখে ত্রিপুরা রয়েছে দেশের সপ্তম স্থানে। এই পরিসংখ্যান গত কুড়ি জুলাই ২০২৩ সংসদে রাজ্যসভার সাংসদ জেকে মণির উত্থাপিত প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্ম বিনিয়োগ মন্ত্রকের মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংসদে লিখিত জবাব দিয়ে গত ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ এই চার অর্থ বছরে দেশের বেকারত্বের হার, একই সাথে রাজ্যগুলির বেকারত্বের হার পৃথকভাবে উল্লেখ করেছেন।তার দেওয়া লিখিত তথ্য ও পরিসংখ্যান মোতাবেক দেশে সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থ বছর পর্যন্ত বেকারত্বের হার ৪.১ শতাংশ। ২০১৮-১৯ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৫.৮ শতাংশ, ২০১৯- ২০ সালে ৪.৮ শতাংশ, ২০২০-২১ সালে ৪.২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ সালে ৪.১ শতাংশ ছিল।২০২১-২২ অর্থ বছরের সর্বশেষ হিসাব মোতাবেক দেশের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবথেকে কম বেকারত্বের হার হচ্ছে সিকিমে ১.৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট, ঝাড়খণ্ড।এই দুটি রাজ্যে বেকারের হার দুই শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ ২.১শতাংশ। চতুর্থ স্থানে ছত্তিশগড় ২.৪ শতাংশ। পঞ্চম স্থানে মেঘালয় ২.৬ শতাংশ।ষষ্ঠস্থানে উত্তরপ্রদেশ ২.৯ শতাংশ। সপ্তম স্থানে ত্রিপুরা তিন শতাংশ।অষ্টম স্থানে কর্ণাটক ৩.২ শতাংশ। নবম স্থানে লাদাক ৩.৩ শতাংশ।দশম স্থানে পশ্চিমবঙ্গ ৩.8 শতাংশ।বামশাসিত কেরালায় বেকারত্বের হার ৯.৬ শতাংশ।দেশে সবথেকে বেশি বেকার রয়েছে লাক্ষাদ্বীপে ১৭.২ শতাংশ। এরপর গোয়া বারো শতাংশ । কেরালা ৯.৬ শতাংশ, নাগাল্যাণ্ড ৯.১ শতাংশ, মণিপুর নয় শতাংশ, হরিয়ানা নয় শতাংশ, উত্তরাখণ্ড এবং আন্দামান ৭.৮ শতাংশ, অরুণাচল প্রদেশ ৭.৭ শতাংশ।পাঞ্জাব ৬.৪ শতাংশ, চণ্ডীগড় ৬.৩ শতাংশ, ওড়িশা ছয় শতাংশ, বিহার ৫.৯ শতাংশ, পণ্ডিচেরী ৫.৮ শতাংশ,মিজোরাম ৫.৪ শতাংশ, দমন দিউ এবং জম্মু কাশ্মীরে ৫.২ শতাংশ।বাকি রাজ্যগুলি যেমন অন্ধ্রপ্রদেশ ৪.২, হিমাচল প্রদেশ চার, রাজস্থান ৪.৭, তামিলনাড়ু ৪.৮, তেলেঙ্গানা ৪.২ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য উল্লেখ করে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, ত্রিপুরা যে সবদিক দিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সংসদে দেওয়া এই পরিসংখ্যান তারই প্রমাণ। তিনি বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন,শুধু পার্টি অফিসে বসে গল্প বললে হবে না। এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *