হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার আতঙ্কে জুবুথুবু কাঞ্চনপুর মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা!!
দেশের নয়া তিন আইন যুগান্তকারী পদক্ষেপ: মানিক!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সাধারণ নাগরিকদের জন্য সময় মতো এবং সঠিক বিচারের ব্যবস্থা করে দিতে পারলেই আইন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা আসবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন্তাধারাতেই ঔপনিবেশিক আমলের তিনটি ফৌজদারি আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। দেশে গত ১ জুলাই ২০২৪ থেকে চালু করা হয় এই আইন। বুধবার হাপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণের ইন্ডোর এগজিবিশন হলে পাঁচদিনব্যাপী নয়া এই তিন ফৌজদারি আইন সম্পর্কিত রাজ্যস্তরীয় এক প্রদর্শনীর সূচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এই প্রদর্শনীর সূচনা করে বলেন, দারুণ সাফল্য আসবে এই তিন আইনে।
আগামী চৌদ্দ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে আয়োজিত এই প্রদর্শনী। প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে খোলা থাকবে প্রদর্শনী। নতুন এই তিন ফৌজদারি আইন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রদর্শনী স্টলও খোলা হয়েছে।ফৌজদারি আইন সম্পর্কে প্রদর্শনীর সূচনা সম্পর্কে প্রদর্শনীর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, সর্বভারতীয় স্তরের যে কোনো নীতি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে রাজ্য এখন সমগ্র দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে।প্রদর্শনীর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সাধারণ জনগণকে নতুন আইনগুলি সম্পর্কে আরও বেশি করে সচেতন করে তুলতেই এই প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের আইন ব্যবস্থায় এই তিনটি নতুন আইনের সংযোজন এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। নাগরিকদের দ্রুত ন্যায়বিচার প্রদানের কথা মাথায় রেখেই পরিবর্তন আনা হয়েছে এতে।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় নিয়মনীতির সরলীকরণও করতে হচ্ছে। যা রাজ্যের উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। নতুন এই ফৌজদারি আইনগুলির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনায় সময়মতো বিচার প্রদান, অযথা হয়রানি বন্ধ, তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেন্সিক ও ডিজিটাল ব্যবস্থার গুরুত্ব বৃদ্ধি সহ শিশু, মহিলা, ষাট বছরের ঊর্ধ্বের ব্যক্তিদের জন্য এই আইনে কি কি সুবিধা রয়েছে এসব নিয়েই এ দিন আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেন নাগরিকবান্ধব এই সকল আইন নাগরিকদের সুষ্ঠু বিচার প্রদান করতে সহায়ক ভূমিকা নেবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে এ দিন আরক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। উদ্বোধনী পর্বের পর মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা প্রদর্শনী স্টলগুলি ঘুরে দেখেন।অনুষ্ঠানে আরক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, আশাকর্মী,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।