সেপ্টেম্বরে আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা!!
দেশজুড়ে বিতর্কের আবহে পথকুকুর নির্দেশ পর্যালোচনার ইঙ্গিত প্রধান বিচারপতির!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-রাজধানী দিল্লির রাস্তাঘাট থেকে কয়েক লক্ষ পথকুকুর সরানোর সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার প্রধান বিচারপতি বিআর গবই জানালেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বুধবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে পথকুকুর-সংক্রান্ত একটি মামলা জরুরি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়। সেখানেই প্রধান বিচারপতি বলেন, বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হবে, যদিও অপর একটি বেঞ্চ ইতিমধ্যেই এ নিয়ে নির্দেশ দিয়েছে।
গত সোমবার শীর্ষ আদালত দিল্লি, নয়াদিল্লি পুরসভা (এনডিএমসি) এবং দিল্লি পুরসভার (এমসিডি) প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়— অবিলম্বে সব পথকুকুরকে ধরে স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, উচ্ছিষ্ট খাবার খোলা জায়গায় না ফেলার নির্দেশও জারি হয়, কারণ এতে কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণীরা আকৃষ্ট হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে এবং অনেক সময় পথচারীদের আক্রমণ করে।
প্রাণী অধিকার সংস্থা ‘পেটা ইন্ডিয়া’ এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, বৃহৎ পরিসরে স্থানচ্যুতি বৈজ্ঞানিক বা কার্যকর পদ্ধতি নয়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, ‘‘মানবিকতার পথ থেকে সরে এসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবলা প্রাণীদের সমস্যা হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া উচিত নয়।’’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পথকুকুরদের নির্বীজকরণ ও টিকাকরণের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। ২০২৩ সালে কোনও নির্দেশ ছাড়াই মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে যায়। পরে সংস্থাটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, যা এখনও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ে সকল জীবের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং নির্বিচারে হত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার প্রধান বিচারপতির পর্যালোচনার ইঙ্গিতের ফলে ভবিষ্যতে ভারতের পথকুকুর নিয়ন্ত্রণ নীতিতে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হল।