দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি এআই ব্যবহারে গুরুত্ব মুখ্যমন্ত্রীর!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মহাকরণের ২ নং কনফারেন্স হলে সোমবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানের আবরণ উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। অনলাইনে এদিন তিনি হাপানিয়ায় ৫০ লক্ষ ব্যয়ে একটি টেকনোলজি ডেমনস্ট্রেশন ইউনিট, সিভিল ডিফেন্স ট্রেইনিং স্কিম, ২৬টি অটোমেটেড ওয়েদার স্টেশন, রেইন গজ, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ইক্যুইপমেন্ট ভেরিফিকেশন, পোর্টাল এবং চেঞ্জ অব ল্যান্ড ইউজ (ডাইভারসন অব ল্যান্ড) পোর্টালেরও উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, বর্তমান যুগ হল প্রযুক্তি ও এআই-এর যুগ।তাই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তি ও এআই ব্যবহারে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক।
তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য ২০২২ সালে সিত্রাং, ২০২৩ সালে মোচা এবং ২০২৪ সালে রেমাল ঘূর্ণিঝড়, ২০২৮ ও ২০২৪ সালে বিধ্বংসী বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল। তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় যেসকল সমস্যা ও খামতি রয়ে গেছে, তা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে হবে। ত্রাণ শিবিরগুলির ব্যবস্থাপনা আগে থেকেই খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করাও জরুরি বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ২০২৪-২৫ প্ল্যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শী চিন্তাভাবনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় সঠিক ও সময়মতো আবহাওয়ার পূর্বাভাস জরুরি। তাই ২৬টি অটোমেটেড ওয়েদার স্টেশন এবং রেইন গজ স্থাপন করা হয়েছে।
আগামী দিনে বিলোনীয়ায় ডপলার ওয়েদার রাডার স্টেশন স্থাপন করারও পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান। নিউ ইক্যুইপমেন্ট ভেরিফিকেশন পোর্টাল উদ্বোধন সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, জেলা, মহকুমা ও টিএসআর ব্যাটেলিয়নে সংরক্ষিত দুর্যোগ মোকাবিলা সামগ্রীগুলির মাধ্যমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। যন্ত্রপাতিগুলির বর্তমান অবস্থা ও পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যাবে।যন্ত্রপাতিগুলির বর্তমান অবস্থা ও পরিমাণ সম্পর্কেও ধারণা লাভ করা যাবে। দুর্যোগ মোকাবিলায় এ দিন সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদমাধ্যম সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন করে। সরকার ও প্রশাসন কর্তৃক জনকল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল করে। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, দুর্যোগকালীন সময়ে গুজব ও আতঙ্ক না ছড়ানোর ক্ষেত্রেও সংবাদমাধ্যম বরাবরের মতোই সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করবে।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যসচিব কিরণ গিত্যে বলেন, স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান শুধু ব্লু প্রিন্টই নয়, এটি আমাদের সকলেরই সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ।
এটি প্রযুক্তিতে ত্রিপুরার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে প্রতিফলিত করে। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ ধ্যানকর, পিসিসিএফ আর কে শ্যামল, রাজস্ব সচিব ব্রিজেশ পাণ্ডে।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব, বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক সহ অন্য আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।