ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া, মামলা প্রত্যাহার!তদন্ত ঘিরে প্রশ্ন,ক্ষুব্ধ কর্মীদের নালিশ দিল্লীতে!!

 ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া, মামলা প্রত্যাহার!তদন্ত ঘিরে প্রশ্ন,ক্ষুব্ধ কর্মীদের নালিশ দিল্লীতে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অফিযানে ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে করলেন নালিশ।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক – আধিকারিক – কর্মচারীদের অভিযোগ গেলো মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে।শুধু তাই নয়, তাদের নালিশ যাবে রাষ্ট্রপতি ভবনে।এমনকী যাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে।পুলিশের অভিযানের নামে কর্মচারীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ এনে লাগাতার ধর্মঘটে যাচ্ছেন শিক্ষক-আধিকারিক কর্মচারীরা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে এমনই খবর।
জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রদানের নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় প্রায় একমাস আগে একটি মামলা হয়। এই মামলার ভিত্তিতে এক ব্যক্তি প্রথমে গ্রেপ্তার এবং রাতারাতি জামিনেও মুক্ত হন। অবাক করার বিষয় হলো ওই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কর্মচারী ছিলেন না। ওই ব্যক্তির অভিযোগমূলে গত ২২ মার্চ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, গ্রুপ বি এবং গ্রুপ এ পদে নিয়োগের উত্তরপত্র কক্ষ এবং উত্তরপত্র সিল করে দিয়েছিল আরক্ষা প্রশাসন। অভিযোগ ছিল গ্রুপ ডি পদের নিয়োগ ঘিরে।অথচ যে ব্যক্তি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ এনেছিলেন।তিনি স্থানীয় থানা থেকে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে আরক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর। এমনকী অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং মামলাকারী ব্যক্তি দু-জনের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি মীমাংসা পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। এর জন্য তারা দু’জনের মধ্যে অ্যাফিডেভিট পর্যন্ত করে নিলেন।এই প্রমাণও থানা বাবুদের কাছে জমা দিয়েছেন বলে খবর। এর প্রমাণপত্র এখন সবার কাছে রয়েছে। এরপরও কেন তদন্তের নামে ছুটির দিন ও ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-আধিকারিক কর্মচারীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অভিযোগ চরমে উঠেছে।
এদিকে রাজ্যের এবং বহিঃরাজ্যের বরিষ্ঠ তিন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ হলে তারা জানিয়েছেন, কেন অ্যাফিডেভিট হলফনামার বিষয়টি ধমাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এটাই পেছনে কী রহস্য রয়েছে।একবার আদালতে বিষয়টি আসলেই সব সাফ হবে। তবে কেউ ছাড় পাবে না।
এদিকে শুক্রবারের বৈঠক প্রসঙ্গে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিষ্ঠ অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও আধিকারিক এবং আধিকারিকরা জানান, তারা কোনও অনৈতিক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত নন। তবে কেন পুলিশ তাদের প্রত্যেকদিন হেনস্তা করছে। যে জায়গায় মামলাও প্রত্যাহার হয়ে গিয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী। তাই তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে নালিশ করেছেন। প্রয়োজনে তারা নয়াদিল্লীতে যাবেন। এমনকী শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বভারতীয় সংগঠনেও বিষয়টি গিয়েছে। এরপর সর্বভারতীয় সংগঠন তাদের রক্ষায় দিল্লীতেও আন্দোলনে বসবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজনও অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, আধিকারিক, কর্মচারী কোনও ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার কজে যুক্ত থাকবে না। পরীক্ষা গ্রহণ, প্রশ্নপত্র তৈরি, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ইন্টারভিউ নেওয়ার কাজেও যুক্ত থাকবেন না। এমনকী বর্তমান গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, গ্রুপ বি এবং গ্রুপ এ পদের নিয়োগেও তারা কাজ করবেন না। এমনকী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও প্রশ্নপত্র তৈরির কাজেও তারা শামিল হবে না। এই বিষয়টি আগামী সপ্তাহে লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতি ভবনে তারা জানাবেন। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনেও জানাবেন।
গ্রুপ ডি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে গ্রুপ সি, গ্রুপ বি এবং গ্রুপ এ পদের নিয়োগও বিশবাঁও জলে। অথচ এই পদে অধিকাংশ চাকরি প্রার্থী ত্রিপুরার। এখন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদেরও বিপাকে পড়তে হতে পারে। এর মূলে তদন্তের নামে হেনস্তা। অথচ গ্রুপ ডি পদে চাকরি প্রদানের নামে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত পদের কর্মচারীও না।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.