ঘর ভাঙছে বিজেপির,পাহাড়ে একটিই রাজনৈতিক দল থাকবে ‘তিপ্রা মথা’: প্রদ্যোত!!
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে ১১ই পরীক্ষা গ্রহণ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া উপাচার্য নিয়োগে ইন্টারভিউর দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। ১১ ডিসেম্বর নয়াদিল্লীতে হবে উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ। শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে গত ৩০ নভেম্বর থেকে উপাচার্য পদে ইন্টারভিউর জন্য নির্বাচিত সিনিয়র প্রফেসরদের আহ্বান করা হচ্ছে। বিস্ময়ের ঘটনা ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন সিনিয়র প্রফেসরকেও এখন পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে ‘কল লেটার’ পাঠানো হয়নি।
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৮ জন সিনিয়র প্রফেসর উপাচার্য পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের একজন প্রথম তালিকায় স্থান পেলেও তিনি এখনও পর্যন্ত ১১ ডিসেম্বরের পরীক্ষার জন্য নয়াদিল্লীর ডাক পাননি। তবে উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সিনিয়র প্রফেসরদের ইন্টারভিউতে শামিলের জন্য আবেদন করেছে শিক্ষা মন্ত্রক।
শিক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ১১ ডিসেম্বর সারা দেশ থেকে ১৪ জন সিনিয়র প্রফেসর শামিল হবেন। মৌখিক সাক্ষাৎকারে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন সিনিয়র প্রফেসর, ওড়িশা থেকে একজন সিনিয়র প্রফেসর, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট থেকে দুজন করে সিনিয়র প্রফেসর, হরিয়ানা থেকে দুজন সিনিয়র প্রফেসর, আসাম এবং নাগাল্যান্ড থেকে একজন সিনিয়র প্রফেসর, পশ্চিমবাংলা থেকে ১ জন সিনিয়র প্রফেসর থাকবেন। তালিকায় এখন পর্যন্ত ত্রিপুরার একজনও নেই।
সূত্রের খবর, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া উপাচার্য নিয়োগের জন্য এপ্রিল মাসে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল মন্ত্রক। গত ৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত আবেদন সংগ্রহ হয়েছে।সারা দেশ থেকে ২৮ জন সিনিয়র প্রফেসর আবেদন করেছিলেন। যদিও পরবর্তী সময়ে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজের পরিবেশ নেই, বহিঃরাজ্যের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, উপাচার্য, রেজিস্ট্রারের বা আধিকারিকদের নিরাপত্তা নেই এই অভিযোগ এনে ১০ জন আবেদনকারী নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ান। শেষ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রকের অনুরোধে তাদের ৬ জন ইন্টারভিউতে থেকে যান। এ নিয়েও দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নয়া উপাচার্য পেতে পারে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়। এ নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে মন্ত্রক। উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়, পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাট এবং হরিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সিনিয়র অধ্যাপকদের রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিঃরাজ্য থেকে আসা লোকজনদের নিরাপত্তা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক হল শিক্ষা মন্ত্রকে। মন্ত্রকের এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন, উপাচার্য নিয়োগ – ইন্টারভিউর দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। চেষ্টা চলছে ২৫ ডিসেম্বরের আগে যাতে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়া উপাচার্য দায়িত্বভার নিতে সফল হন। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল ফেরাতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন সহ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি নীতি চালুর জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার এবং লোক ভবন তরফে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সহ অন্যান্য আধিকারিক পদে বহিঃরাজ্য থেকে আগতদের কাজের সুপরিবেশ এবং নিরাপত্তা প্রদান করবে ভারত সরকার। এই প্রতিশ্রুতিতে প্রফেসররা। উপাচার্য পদে ইন্টারভিউতে অংশ নিতে রাজি হলেন। এটাই রাজ্যের উচ্চশিক্ষার বাস্তব হাল।