ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ইস্যুতে নাড্ডা সকাশে মথার প্রতিনিধি দল!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ইস্যুতে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগত প্রকাশ নাড্ডার সাথে সাক্ষাৎ করলেন তিপ্রা মথা নেতৃত্ব। আজ নয়াদিল্লীতে সংসদ ভবনে বৈঠকে মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ, বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, বিজেপি সাংসদ কৃতি সিং দেববর্মণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত পূরণের পাশাপাশি রাজ্যেও ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানানো হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে।
বৈঠক প্রসঙ্গে নয়াদিল্লী থেকে মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত পূরণ নিয়ে একমত ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরাতেও এসআইআর কার্যকর করা হবে।২০২৬ সালে ডিলিমিটেশনের আগেই ত্রিপুরাতে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী করা হবে। তিনি বলেন, ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী নিয়ে একটি অংশ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত পূরণের জন্য এখন আইনি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে ভারত সরকার। যাতে আগামীদিনে কোনো সমস্যা না হয়। রাজ্যের আর্থসামাজিক মান উন্নয়নের জন্য ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। যাতে সত্তর বছর ধরে চলা সমস্যাগুলোর সমাধান হয়। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর প্রশংসা করে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির জন্যে রাজ্যের জাতি উপজাতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। রাজ্যের উপজাতি জনসমাজের এখনও অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের মতো অধিকার চাইতে হচ্ছে। এটা বেদনাদায়ক। ২০২৪ সালের দুই মার্চ দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পৌরোহিত্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
তিনি বলেন, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর যে নির্মম অত্যাচার হচ্ছে তা প্রমাণ সহ তুলে ধরা হয়। যাতে এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করে ভারত সরকার।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের দাবি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ১২৫ তম সংবিধান সংশোধনী বিলে অনুমোদন প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে জনজাতিরা সব অধিকার ফিরে পাবে। ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, আর্থসামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার, অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের অধিকার ফিরে পাবে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ, ওইমেন্স কলেজ, পানীয় জলের সমস্যা নিরসন, বিদ্যুৎ সমস্যার নিরসন, হাসপাতাল সহ আর্টিকেল ২৩-তে অনুমোদন প্রদানও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন করতে হবে।
এদিকে আজ সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় উপজাতি কল্যাণমন্ত্রী জুয়েল ওরাং-এর সাথে বৈঠক করেছেন মথা নেতৃত্বরা।