নেপালের অশান্তির জেরে মাঝ রাতে হঠাৎ উত্তরকন্যায় হাজির মমতা!!
ডিজিটাল হাউস নম্বর প্লেটের নামে প্রতারণা, খবর প্রকাশিত হতেই কড়া পদক্ষেপ, অর্থ ফেরত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ডিজিটাল হাউস নম্বর প্লেটের নামে অর্থ আদায়ের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ ঘিরে কাঞ্চনপুর এলাকাজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দৈনিক সংবাদে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরই প্রশাসন সক্রিয় হয়ে উঠে। মহকুমা শাসক ডা. দীপক কুমার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেন। তিনি সরাসরি ওই সংস্থাকে জানিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট সংস্থা যাতে অবিলম্বে আদায় করা সমস্ত অর্থ ফেরত দেয়। উল্লেখ্য, উত্তর জেলার লালজুরি আর ডি ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে এই প্রতারণার কার্যকলাপ চালানো হচ্ছিল। উত্তরপ্রদেশের একটি বেসরকারী সংস্থা এ কাজে জড়িত ছিল। অভিযোগ, লালজুরি আর ডি ব্লকের বিডিওর প্রত্যক্ষ মদতে ওই সংস্থা সরকারী প্রকল্পের আড়ালে অর্থ সংগ্রহ করেছিল।
গ্রামেগঞ্জে প্রচার চালানো হয়েছিল যে, ডিজিটাল হাউস নম্বর প্লেট নাকি বাধ্যতামূলক। জনপ্রতি পঞ্চাশ টাকা করে জমা দিতে বলা হয়েছিল। কোনও কোনও পরিবারে দশজন সদস্য থাকলে পাঁচশ টাকা। হাজার হাজার গ্রামীণ মানুষ প্রতারিত হয়ে টাকা দেয়। বাস্তবে কিন্তু এই প্রকল্পের কোনও সরকারী অনুমোদন নেই। মহকুমা শাসক ডা: দীপক কুমার স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন, এটি বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে স্বেচ্ছায় করতে পারে কিন্তু কাউকে জোর করে নয়। তবু প্রতারক সংস্থাটি ভুয়ো প্রচার করে টাকা আদায় করছিল। গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে ঘোষণা করা হয়েছিল।মানুষকে বলা হচ্ছিল এই কার্ড ছাড়া ভবিষ্যতে সরকারী সুবিধা মিলবে না। ফলে সাধারণ গ্রামবাসীর মনে ভয় ঢুকে যায়। অসহায় মানুষজন শেষ পর্যন্ত টাকা দিতে বাধ্য হন। এই ঘটনা দৈনিক সংবাদে প্রকাশের পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। মহকুমা শাসক সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত শুরু করেন। তাঁর হস্তক্ষেপে প্রতারক সংস্থার ভ্রান্ত প্রচার থেমে যায়।তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে অবিলম্বে ফেরত। দিতে হবে। প্রশাসনের সেই কড়া পদক্ষেপে সংস্থাটি আদায় করা টাকা ফেরত দিতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই বহু পরিবার তাদের জমা দেওয়া টাকা ফেরত পেয়েছে। মানুষের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেছে। তাঁরা বলছে সংবাদ না বেরুলে প্রতারণা চলতেই থাকত। গ্রামবাসীরা একই সঙ্গে প্রশাসনের ভূমিকাকেও কুর্নিশ জানিয়েছে। তাঁরা মনে করছে, দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ত। প্রশাসনের দৃঢ় ভূমিকার ফলে প্রতারণার জাল ছিন্ন হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকেও সতর্ক বার্তা দিয়ে জনগণকে জানানো হয়েছে, সরকার কখনও কাউকে জোর করে প্রকল্প নিতে বলে না।
এদিকে, গ্রামবাসীরা বলছে সংবাদ এবং প্রশাসনের এই ধরনের পদক্ষেপ তাঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। কাঞ্চনপুরবাসীর দাবি, এভাবে প্রশাসন যদি সদা সচেতন থাকে তবে আর কোনও প্রতারক সংস্থা সাধারণ মানুষকে ঠকাতে পারবে না। এই ঘটনা তাই প্রশাসন, সংবাদ মাধ্যম এবং সাধারণ মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।