December 15, 2025

ডাল, চাল, চিনির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে মানুষ!!

 ডাল, চাল, চিনির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে মানুষ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের আগুন মূল্যে বাজারে গিয়ে ক্রেতার যখন হাত পুড়ছে, তখনই আবার আচমকা কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য – গত কয়েকদিনের মধ্যে লাগাম ছাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে অগ্নিমূল্যের কারণে এমনিতেই ক্রেতা সাধারণের নাভিশ্বাস দশা। তারমধ্যে এখন আবার মসুরি ডাল ও চালের মূল্য গত কয়েকদিনের মধ্যে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মহারাজগঞ্জ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি মসুরি ডালের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেও আরহাম চাল বাদে অন্যান্য জাতের চালের পাইকারি মূল্য গত এক মাসের মধ্যে বৃদ্ধি পায়নি। মহারাজগঞ্জ পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান একমাত্র মসুরি ডাল, আরহাম চাল ও চিনির মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।পাইকারি বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরো বাজারেও মসুরি ডাল, আরহাম চাল ও চিনির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।কেন বাজারে এখন এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেলো সেই বিষয়ে মহারাজগঞ্জ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি বহি:রাজ্যের উৎসস্থলে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আগরতলা ও রাজ্যের বাজারেও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার সূত্রে জানা গেছে আঙুর ব্র্যান্ড মসুরি ডালের পাইকারি মূল্য গত তিন সপ্তাহ আগেও ছিল প্রতিকিলো ১০৮ টাকা থেকে ১১০ টাকা। এখন গত ক’দিনে মসুরি ডালের পাইকারি মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে ১৩৫ টাকা। খুচরো দোকান ও বাজারে আঙুর ব্র্যান্ড মসুরি ডালের মূল্য গত তিন সপ্তাহ আগে ছিল প্রতিকিলো ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে। আর গত ক’দিনে আঙুর ব্র্যান্ডের মসুরি ডালের খুচরো মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়।এই ডাল খুচরোতে প্রতিকিলোতে ন্যূনতম একলাফে ২৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সনপুরী মসুরি ডালের মূল্যও পাইকারি ১ও খুচরোতে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে
তিন সপ্তাহ আগে ছিল পাইকারিতে ৯৩ টাকা থেকে ৯৫ টাকা প্রতিকিলোতে। এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাইকারিতে প্রতিকিলো ১১৮ টাকা। খুচরো বাজারেও সনপরি মসুরি ডাল প্রতিকিলোতে ১০০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা। এই ডালেরও নতুন করে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিকিলোতে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। বহি:রাজ্যের আমদানিকৃত আরহাম চালের রেড পাইকারি মূল্য গত তিন সপ্তাহ আগে ছিল প্রতিকিলো ৪৩ টাকা। এখন গত ক’দিনে এই চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে পাইকারিতে প্রতিকিলো ৪৬ টাকা। আরহাম চাল (রেড) খুচরাতে মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ টাকা থেকে ৫৪ টাকা। তিন সপ্তাহ আগে এই চালের মূল্য ছিল ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা। আরহাম চালের (গ্রীন) পাইকারি মূল্য ছিল তিন সপ্তাহ আগে প্রতিকিলো ৪৫ টাকা এখন বেড়ে হয়েছে প্রতিকিলো ৪৮ টাকা। খুচরো মূল্য ছিল প্রতিকিলো ৫০ টাকা। এখন খুচরোতে নেওয়া হচ্ছে প্রতিকিলো ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। আরহাম (ইয়েলু) পাইকারি মূল্য তিন সপ্তাহ আগে ছিল প্রতিকিলো ৫০ টাকা, খুচরো ছিল প্রতিকিলো ৫৫ টাকা। এখন পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকিলো ৫৪-৫৫ টাকায়। খুচরোতে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকিলো ৬০ টাকায়। আরহাম চালের মূল্যও বাজারে আগের চেয়ে প্রতিকিলোতে ৫ টাকা বৃদ্ধি করে বিক্রি হচ্ছে। বাসমতী সহ অন্যান্য জাতের চালের তিন সপ্তাহের মধ্যে মূল্য বৃদ্ধি পায়নি বলে ব্যবসায়ীর দাবি। বাজারে চিনির মূল্য অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন সপ্তাহ আগে পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে প্রতিকিলো ৪৬ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে প্রতিকিলো ৪৯ টাকা। খুচরোতে তিন সপ্তাহ আগে ছিল প্রতিকিলো ৫০ টাকা। এখন খুচরোতে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকিলো ৫৫ টাকা। বাজারে মূল্য বৃদ্ধির পেছনে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ীর দিকেও ক্রেতারা আঙুল তুলেছেন। বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে মসুরি ডাল, আরহাম চাল, চিনির মূল্য গত ক’দিনে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সেই বিষয়ে খাদ্য দপ্তর ও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *