শক্তি সংরক্ষণে ফের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত হলো ত্রিপুরা!!
ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার জেরে উড়ালপুলে দমবন্ধ-জ্যাম!!
অনলাইন প্রতিনিধি :- যানজট কমানোর জন্য তৈরি আগরতলা ফ্লাইওভারই এখন জ্যামের সবচেয়ে বড় ফাঁদ! শহরের প্রাণকেন্দ্রে তৈরি এই উড়ালপুলের উদ্দেশ্য ছিল যানজট কমানো। কিন্তু আজ তা নিজেই পরিণত হয়েছে শহরের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যানজটের উৎসে।
প্রতিদিন বিকেল হলেই উড়ালপুলের মাথায় শুরু হয় তীব্র যানজট। এমন দৃশ্য দেশের অন্য কোনো শহরে সচরাচর দেখা যায় না,এমনই অভিযোগ সাধারণ মানুষের। বড়দোয়ালী দিক থেকে ছুটে আসা যানবাহনগুলি উমাকান্তের সামনে নামতে গিয়ে জ্যামে আটকা পড়ে।সৃষ্টি হয় গাড়ির লম্বা লাইন। কখনও সেই লাইন বটতলা পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। সন্ধ্যা নামলেই পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হয়ে উঠে যানজট। অনেকের মন্তব্য, এটা ফ্লাইওভার নয়, অচলপুল!এই অচলাবস্থার মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে নির্মাণ ত্রুটি এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের অব্যবস্থা। প্রকৌশলিদের মতে, উড়ালপুলের নকশাতেই ভুল রয়ে গেছে, যা এখন আর সংশোধনের উপায় নেই। ফায়ার ব্রিগেড দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে উড়ালপুলে উঠতে ডানদিকে মোড় নিতে হয়। সেই সময় উড়ালপুল থেকে নামা গাড়িগুলিকে পুরোপুরি থামতে হয়। এই একমাত্র মোড়ই কয়েক মিনিটে লাইনকে কয়েকশো মিটরে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, ডানদিকের এই মোড়টাই পুরো ফ্লাইওভারকে অচল করে দিচ্ছে।
যানজট থেকে মুক্তির সমাধান আগেই চিহ্নিত হলেও প্রয়োেগ হয়নি।ব্যস্ত সময়ে সকাল, বিকেল ও সন্ধ্যায় ফায়ার ব্রিগেড দিক থেকে আসা গাড়ি সরাসরি ফ্লাইওভারের মুখে ডানদিকে মোড় নিষিদ্ধ করলে যানপ্রবাহ অনেকটাই স্বাভাবিক হতে পারে। গাড়িগুলিকে সোজা আইজিএম চৌমুহনী পর্যন্ত এগিয়ে ঘুরে ফ্লাইওভারে উঠতে দিলে জট কমতে পারে। পাশাপাশি ফায়ার ব্রিগেড থেকে উমাকান্ত স্কুল পর্যন্ত উড়ালপুলের নিচে দুই দিকেই পারাপারের রাস্তা খুলে দিলে ভুলবশত ফায়ার ব্রিগেড ফেলে চলে এলে গাড়িগুলি সহজে বটতলার দিকে চলে যেতে পারবে।
প্রশ্ন এখন একটাই, জ্যাম কমানোর জন্য যে ফ্লাইওভার বানানো হয়েছে, সেটাই যদি শহরের সবচেয়ে বড় যানজটের উৎস হয়, তবে প্রশাসন কবে নড়াচড়া করবে? শীতের সন্ধ্যায় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলেই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। আগরতলাবাসীর প্রশ্ন এবার কি সমাধান মিলবে?