August 2, 2025

জয় হলো ভালোবাসার

 জয় হলো ভালোবাসার

পুরোহিত,সাধু সন্ন্যাসী ও সমাজের মান্যিগন্যিদের উপস্থিতিতে অসমবর্ন ভালোবাসার স্বীকৃতি পেল শুভ পরিনয়ের মাধ্যমে। আর এর সাথে আবারও জয় হলো ভালোবাসার। প্রকৃত ভালোবাসার কাছে হার মানতে হলো সমাজের যাবতীয় কুসংস্কার। জাত পাতের জটিলতা ও নানা বাঁধা বিপত্তি কে ছিন্ন করে জয়ী হলো প্রেম। উদয়পুর মহকুমার দুধপুস্করনী এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ দাসের পুত্র সম্রাট দাস উদয়পুরেরই জনৈকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়ের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ।

কিন্তু কুসংস্কারে জর্জড়িত সমাজ তাদের ভালোবাসার স্বীকৃতি দিতে অপরাগ। ঘটনা জানতে পেরে এলাকারই কয়েকজন সমাজসেবক ও সাধু সন্ন্যাসীরা সম্রাটের ভালোবাসার মর্যাদা দিতে তৎপর হয়। শুরু হয় আলাপ আলোচনা। অবশেষে শুক্রবার সম্রাটদের বাড়িতেই এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবি ও প্রতিবেশীদের উপস্থিতিতে এবং স্বামী তন্ময় আনন্দ মহারাজ সহ অন্যান্য সাধু, সন্ন্যাসীদের উপস্থিতিতে পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারনের মাধ্যমে সাতপাঁকে আবদ্ধ হয় সম্রাট দাস ও তার ভালোবাসার পাত্রী।

ধর্মীয় রীতিনীতি এবং আচার আচরণ মেনেই সংশ্লিষ্ট সকলের উপস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েটিকে পুত্র বধুর মর্যাদা দিয়ে ঘরে বরন করেন সম্রাটের পিতা নারায়ণ দাস। বিবাহ অনুষ্ঠান শেষে প্রতিবেশী সহ সকলকে বিবাহ ভোজনে আপ্যায়িত করে সম্রাটের পরিবার। বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বামী তন্ময়ানন্দ জি মহারাজ বলেন, একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কন্যাকে শাস্ত্র মেনে বিবাহ করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তোলে বর্তমান সমাজের কাছে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সম্রাট দাস । শুক্রবার দিনটি বর্তমান সমাজের নিকট এক বিশেষ দিন হিসাবে স্মরণীয় থাকবে বলেও স্বামী তন্ময়ানন্দ মহারাজ মন্তব্য করেন। ওই বিবাহ অনুষ্ঠান ঘিরে দুধপুস্করনী এলাকাবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *