August 14, 2025

জিবি হাসপাতালে কমিশন বাণিজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ স্পেশাল নার্সদের!!

 জিবি হাসপাতালে কমিশন বাণিজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ স্পেশাল নার্সদের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে একের পর এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটে চলছে। জিবি হাসপাতালে চুরি, ছিনতাই নিয়ে এমনিতেই বহু অভিযোগ। নিরাপত্তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠে। এখন স্পেশাল নার্সদের এক স্বঘোষিত নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। স্পেশাল নার্সদের নেত্রী জনৈক সোমার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য চালানোর অভিযোগ ঘিরে যাবতীয় কাণ্ড। কয়েকজন স্পেশাল নার্সের সঙ্গে রোগীর পরিবারের সদস্যরাও বুধবার হাসপাতালে হৈচৈ শুরু করেন।
হাসপাতালে স্পেশাল নার্স নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। স্বাস্থ্য দপ্তর, জিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহুবার বলেছেন, হাসপাতালে রোগীর দেখভাল করতে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও হাসপাতালে রোগী ভর্তি হলে স্পেশাল না রাখলে সহজে পরিষেবা পাওয়া যায় না। এই ধরনের অভিযোগ বহু রয়েছে। কিন্তু অভিযোেগ কখনও স্বীকার করেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার স্পেশাল নার্স নিয়ে হৈচৈ ঘিরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও বক্তব্য জানায়নি। এদিন, আচমকায় হাসপাতালে কয়েকজন স্পেশাল নার্স হৈচৈ শুরু করেন। তাদের চিৎকার শুনে রোগী, অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা এগিয়ে যান। তাদের মধ্যে রয়েছেন হিরন সাহা, চন্দনা সরকার নামেও দুই স্পেশাল নার্স। তাদের দাবি, রোগীর দেখভালের জন্য তারা ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। এরমধ্যে একশো টাকা কমিশন দিতে হয় সোমাকে।এই টাকা না দিলে হাসপাতালে স্পেশালের কাজ করতে দেওয়া হয় না। গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে এই কমিশনের টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছে। হাসপাতালে নতুন করে মেডিসিন ও অন্য আরও কয়েকটি ব্লকে সোমা স্পেশালদের নিয়ে সংগঠন বানিয়েছেন। এই সংগঠনের নামে একশো টাকা করে প্রতিদিন নিতে শুরু করেছেন তিনি। হিরন ও চন্দনার দাবি, প্রত্যেক মাসে তারা ১৫ হাজার টাকা রোজগার করলে এরমধ্যে সোমাকে তিন হাজার টাকা দিতে হয়। সোমার বাড়ি বণিক্য চৌমুহনীতে। হাসপাতালে এইভাবে স্পেশালদের বিভিন্ন রোগীদের সঙ্গে দেখভালের জন্য রেখে বাড়তি টাকা কমিশন হিসেবে রোজগার করে চলেছেন সোমা। অভিযোগ, জিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসবকিছু জানে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না। প্রত্যেক রাতে ডিউটি করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে রোগীকে নিয়মিত নার্সরা দেখভাল করেন না বলে অভিযোগ। এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ থাকার পরও কেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা চুপ করে থাকছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন লাঞ্ছিত স্পেশাল নার্সরা। অন্যদিকে, হাসপাতালে রোগীদের এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিতে, রক্ত পরীক্ষার জন্য নিয়ে যেতে অথবা যে কোনও পরিষেবার জন্য কিছু অদক্ষ অনিয়মিত লোকদের হাসপাতালে কমিশন দিতে হয়। রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল এই ধরনের অবস্থা পরিবর্তন করতে সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি তুলছেন রোগীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *