জিএসটি সংস্কার স্বদেশি পণ্যকে উজ্জীবিত করবে, দাবি রতনের!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে চালু হয়েছে নতুন জিএসটি। পুরানো জিএসটি নীতিকে সংস্কার করে, এখন দেশে আরও সহজ করা হয়েছে। জিএসটি সরলীকরণের পর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেকটাই এখন গরিব ও মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে চলে এসেছে। এতে দেশের সকল স্তরের জনগণ দারুণভাবে উপকৃত হবে। শুধু তাই নয়, জিএসটি সংস্কারে স্বদেশি পণ্যের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি জনগণের ক্রয় ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকটাই বাড়বে। শুক্রবার মোহনপুর বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ ও কৃষি দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ।মন্ত্রী এদিন মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হাজারখানেক মানুষকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্বদেশি পণ্য ক্রয় করার জন্য। জনগণকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখন থেকে আপনারা প্রতিদিন বাজার থেকে যা কিছু ক্রয় করবেন, সেটা যেন আমাদের দেশের উৎপাদিত সামগ্রী হয়। তিনি জনগণকে বিদেশি পণ্য ক্রয় করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, জিএসটি সরলীকরণের ফলে প্যাকেটজাত মধু, চাল, টায়ার, টিউব, স্কুল ব্যাগ, নারিকেল তেল, এসি মেশন, বাইক, রড, সিমেন্ট, কৃষি যন্ত্রপাতি, ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার সহ বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমবে। এটি সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সহায়তা হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, চাল উৎপাদনে আমরা বিশ্বে দ্বিতীয় হলেও, রপ্তানিতে আমরা বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন। আমাদের দেশের চাল না গেলে, বহু দেশ খাদ্য সংকটে পড়বে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের সম্মান করেন। দেশের দুধ, ডিম, চিনি, মাছ না গেলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ সহ বহু দেশে প্রভাব পড়বে। মন্ত্রী মহিলাদের উদ্দেশে বলেন, স্বামী যখন বাজারে যায়, তখন আপনারা স্বদেশি বা ভারতীয় পণ্য কেনার পরামর্শ দিন। এতে দেশীয় পণ্য ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষা হবে। সভায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদেরও তিনি সতর্ক করে বলেন, আগে কেনা পণ্য হলেও ২২ সেপ্টেম্বরের নতুন জিএসটি অনুযায়ী বিক্রি করতে হবে। পুরানো দামের তুলনায় বেশি দাম নেওয়া যাবে না। কারণ নতুন কর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে। এদিন সভায় মন্ত্রী নিজেও একটি স্বদেশি জলের ফ্লাস্ক ক্রয় করেন। যা দেশীয় পণ্যের প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করে।
