August 2, 2025

জন্ম নিল বিশ্বের একমাত্র ডোরাকাটা দাগবিহীন জিরাফ।

 জন্ম নিল বিশ্বের একমাত্র ডোরাকাটা দাগবিহীন জিরাফ।

প্রাণী জগতে অন্যতম বিরল ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার টেনেসির ব্রাইটস চিড়িয়াখানায়। গত ৩১ জুলাই এই চিড়িয়াখানায় জন্ম নিয়েছে ডোরাকাটা দাগবিহীন, একরঙা একটি মেয়ে জিরাফ। চিড়িয়াখানা বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, এটিই বিশ্বের প্রথম দাগবিহীন জিরাফ। এখনও জিরাফ শাবকটির নামকরণ করা হয়নি। এর নামকরণের জন্য একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ব্রাইটস চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া এই মেয়ে জিরাফের গায়ের রঙ শুধুমাত্র বাদামি। তার গায়ে কোনও দাগ নেই। জিরাফ মানেই লম্বা গলাবিশিষ্ট, ডোরাকাটা যে প্রাণীটির ছবি ভেসে উঠে, এই জিরাফের গায়ে সে রকম কোনও দাগের প্যাটার্ন দেখা যায়নি। ব্রাইটস জু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাত্র পনেরো দিনেই এই অদ্ভুতসদৃশ জিরাফটি লম্বায় ৬ ফুট।তারমাতোবটেই,চিড়িয়াখানারকর্মীরাও এর যত্নআত্তিতে সর্বক্ষণ ব্যস্ত রয়েছেন। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ মনে করে, এমন বিরল বৈশিষ্ট্যের জিরাফ বিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। কারণ ডোরাকাটা দাগ জিরাফের সবচেয়ে পরিচিত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি। জঙ্গলের মধ্যে বাঘ-সিংহদের হাত থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে গায়ের ডোরাকাটা দাগ জিরাফদের সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। তাছাড়া, জিরাফের ডোরাকাটা দাগের নিচের ত্বকে রক্তনালীর একটি ব্যবস্থা রয়েছে যার মাধ্যমে জিরাফ প্রতিটি প্যাচের (দাগের) ঠিক কেন্দ্রস্থল দিয়ে তাপ নির্গত করতে পারে এবং এর মাধ্যমে জিরাফের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। টেনেসি চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া জিরাফটি ব্যতীত।গবেষকরা মনেকরেন,জিরাফবংশগত সূত্রে তার মায়ের কাছ থেকে এই প্যাটার্ন পেয়ে থাকে। ব্রাইটস চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিরল জিরাফের জন্মের মাধ্যমে জিরাফেরা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় সেই বিষয়গুলি উঠে আসবে। আফ্রিকায় জিরাফের আবাসভূমি ছোট হয়ে আসা থেকে শুরু করে অবৈধভাবে শিকারের কবলে পড়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী প্রজাতিটির অস্তিত্ব বিপন্নতার মুখে।ব্রাইটস চিড়িয়াখানার প্রতিষ্ঠাতা টনি ব্রাইট স্থানীয় টেলিভিশনে বলেন, “আমাদের এখানে ডোরাকাটা দাগবিহীন জিরাফ শাবক জন্মের খবরটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অনেক প্রচার পাওয়ায় জিরাফ সংরক্ষণের উপর আলোকপাত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। খুবই নিঃশব্দে বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে এই সব বন্যপ্রাণী। গত তিন দশকে বন্য জিরাফের সংখ্যা ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *