জনসচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে অঙ্গদানে: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-১৫তম জাতীয় অঙ্গদান দিবস উপলক্ষে রবিবার এক ওয়াকাথনের সূচনা করা হয়। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড জিবি পন্থ হাসপাতাল ও রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের আম্রকুঞ্জ থেকে এই ওয়াকাথনের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে পতাকা নেড়ে ওয়াকাথনের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অঙ্গদানের মাধ্যমে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে। এভাবে জীবন বাঁচানোর চেয়ে বড় মানবসেবা আর কিছুই হতে পারে না।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, একজন মানুষ মৃত্যুর পরও তার কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হার্ট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গদান করে অন্য মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে। আরও বলেন, একজন মানুষ অঙ্গদানের মাধ্যমে আট থেকে নয়টি মানুষের জীবন বাঁচতে পারে। এক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
১৫তম জাতীয় অঙ্গদান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অঙ্গদানের ক্ষেত্রে আমাদের দেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। অঙ্গদানের ক্ষেত্রে মানুষের এগিয়ে না আসাই এর অন্যতম কারণ। এদিক থেকে বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে বলে তিনি জানান।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের ফলে রাজ্যেই কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও রাজ্য সরকার লিভার প্রতিস্থাপনেরও উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্যে ২০২৩ সালে স্টেট অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশনও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এদিন সকল অঙ্গদাতাদের –ও তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। একই সাথে রাজ্যে সদ্য অঙ্গ গ্রহীতাদেরও সংবর্ধিত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জিবিপি হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শংকর চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে,আগরতলা সরকারী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপ কুমার সাহা সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।