জনজাতিদের সার্বিক উন্নয়ন হবে: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-কোনো একটি জাতিগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।গোমতী জেলার বাগমায় আয়োজিত একটি যোগদান সভা থেকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবরের মতোই সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা বলেন। অর্থাৎ জাতি উপজাতি সব অংশের জনগণকে সাথে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। জনগণের সার্বিক উন্নতি হলে তবেই না রাজ্যেরও উন্নতি হবে।তিনি মনে করিয়ে দেন,ভারতীয় জনতা পার্টি কথায় নয় বরং কাজে বিশ্বাসী।
বাগমার কিল্লা বাজারে এদিন আয়োজিত যোগদান সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে মোট ২০০ পরিবারের প্রায় ৬০০ জন ভোটার ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার উপস্থিতিতে তাদের সকলকেই দলীয় পতাকা হাতে বরণ করে নেয় বিজেপি।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সামান্য দেরি হয়েছে ঠিকই তবে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলেন তারা। তারা বুঝতে পেরেছেন যে বিজেপি ছাড়া রাজ্য ও
দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সিপিআইএম-কংগ্রেসের দীর্ঘ ৩৫ বছরের শাসনকাল ছিলো হত্যা, সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতিতে ভরপুর। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি সর্বদাই স্বচ্ছতা ও জনকল্যাণমুখী রাজনীতিতে বিশ্বাসী।যে কারণে আগে ভোট এলেই মানুষকে যেখানে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়তে হতো সেখানে এই অবস্থা এখন আর নেই। মানুষ ভুলে যায়নি সেই দিনের কথা। তার কথায়, বিগত দিনে জনজাতি সম্প্রদায়কে কেবলমাত্র ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হতো।কিন্তু বর্তমান বিজেপি পরিচালিত সরকার তাদের ক্ষমতায়ন ও সামগ্রিক ‘ উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষ বুঝে গিয়েছে যে বিজেপি ছাড়া রাজ্য ও দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। ভারতীয় জনতা পার্টিও এদিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর সবকা সাথ সবকা বিকাশে বিশ্বাসী। যে কারণে বর্তমান বিজেপি পরিচালিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজ্যের জনজাতিদের জন্য নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে শুরু করেছে। যা বিগত দিনে দেখা যায়নি। তিনি বলেন, আগে মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্যের জন্মদিনটিকে পর্যন্ত কেউ মনে রাখেনি। কিন্তু বর্তমান সরকার তার জন্মদিনটিকে সরকারী ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছে।এছাড়াও ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত রাজ্য থেকে মোট সাতজন বিশিষ্ট জনজাতি ব্যক্তিত্ব পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এদিন তিনি কাস্টমারি ‘ল’, গড়িয়া পুজোর ছুটি একদিন বাড়িয়ে দুদিন করা, রাজ পরিবারের সদস্য তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণকে তেলেঙ্গানার রাজ্যপাল পদে আসীন হওয়ার মতো বিষয়গুলিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আর সবকিছুই সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদির সৌজন্যে। আয়োজিত যোগদান সভায় অন্যান্যদের মধ্যে এদিন উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া,বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, বাগমা মণ্ডল সভাপতি অমর জমাতিয়া সহ আরও অনেকেই।