ছ’মাস পর ভারতকে আবার বিরল খনিজ রফতানি শুরু করল চিন, নতুন চুক্তিতে কড়া শর্ত আরোপ বেজিংয়ের!!
ছ’মাস পর ভারতকে আবার বিরল খনিজ রফতানি শুরু করল চিন, নতুন চুক্তিতে কড়া শর্ত আরোপ বেজিংয়ের!!
 
             
      অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘ ছ’মাস বন্ধ থাকার পর ফের ভারতকে বিরল বা দুর্লভ খনিজ রফতানি শুরু করল চিন। তবে এবার দিল্লির উপর একাধিক কঠোর শর্ত আরোপ করেছে বেজিং। জানানো হয়েছে, সেই শর্ত ভঙ্গ হলেই আবার রফতানি বন্ধ হতে পারে।
গত কয়েক মাস ধরেই বিরল খনিজ রফতানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল চিন, যার জেরে আমেরিকার সঙ্গে তাদের সম্পর্কেও টানাপোড়েন তৈরি হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন চিনা পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের বৈঠকের পর পরিস্থিতিতে কিছুটা শিথিলতা এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, বিরল খনিজ সংক্রান্ত সমস্যার ‘সমাধান’ হয়েছে এবং রফতানিতে আর বাধা থাকবে না।
চিনের বিরল খনিজের বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে। সারা বিশ্বের বহু দেশ, বিশেষ করে আমেরিকা ও ভারত, চিন থেকেই এই পণ্য আমদানি করে। সম্প্রতি বেজিং এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, তারা এখন থেকে রফতানি নিয়ন্ত্রণ নীতি আরও কড়া ভাবে কার্যকর করবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বহু দেশ এই খনিজ সামরিক খাতে ব্যবহার করছে, যা তাদের নীতির পরিপন্থী।
সংবাদমাধ্যম ইকনমিক টাইমস জানিয়েছে, আপাতত ভারতের চারটি সংস্থাকে — হিতাচি, কন্টিনেন্টাল, জে-শিন এবং ডিই ডায়মন্ডস — বিরল খনিজ সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে চিন। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, চিন থেকে আমদানি করা এই খনিজ কোনোভাবেই আমেরিকায় রফতানি করা যাবে না এবং সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহারও নিষিদ্ধ থাকবে।
এছাড়াও বেজিং ভারতীয় সংস্থাগুলির কাছ থেকে ‘এন্ড-ইউজ়ার সার্টিফিকেট’ বা চূড়ান্ত ব্যবহারকারীর শংসাপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিল। সেগুলি যাচাইয়ের পরই রফতানির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে চারটি সংস্থা অনুমতি পেলেও, চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে আরও ৫০টির বেশি আবেদন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধাপে ধাপে সেই সংস্থাগুলোকেও অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
 
								 
								 
						 
         
						