সোমবার ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ সার্কিট যাত্রা শুরু করবে ‘ভারত গৌরব’ ট্রেন!!
চারধাম যাত্রার প্রথম মাসেই ২২ লক্ষ পুণ্যার্থী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এই বছর উত্তরাখণ্ডের পবিত্র চারধাম যাত্রায় পুণ্যার্থীদের বিশাল জনসমাগম হয়েছে। সারা দেশ থেকে মানুষ কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী এবং হেম কুণ্ড সাহেব দর্শন করতে আসছেন। এই বছর ৫ জুন পর্যন্ত ২২ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী দর্শন করেতে এসেছেন চারধাম। কিন্তু পুণ্য অর্জন করতে এসে বাড়ি ফেরা হয়নি অনেকের। যাত্রা চলাকালীন এখনও পর্যন্ত ৮৩ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে কেদারনাথের ধামের পথেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ২০২৫ সালের ৫ জুন পর্যন্ত মোট ২২,২০,০৪২ জন তীর্থযাত্রী কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী এবং হেমকুণ্ড সাহিবে পৌঁছেছেন। ৫ জুন, একদিনে ৭৮,৭৮৬ জন পুণ্যার্থী চারধাম দর্শন করেছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,৮৭১ জন কেদারনাথে পৌঁছেছেন,২৩,৭২৯ জন বদ্রীনাথে, ১৩,১১৭ জন গঙ্গোত্রী,৯৮৮০ জুন যমুনোত্রী এবং ও ৭১৮৯ জন পুণ্যার্থী হেমকুণ্ডে গিয়েছিলেন।গড়ে প্রতিদিন ৭০,০০০ জনেরও বেশি মানুষ চারধামে পৌঁছেছিলেন।
কেদারনাথ রুটে সর্বোচ্চ ৩৮ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, বদ্রীনাথে ১৭ জন, গঙ্গোত্রীতে ১৫ জন এবং যমুনোত্রীতে ১৩ জন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বেশি উচ্চতায় অক্সিজেনের অভাবে হৃদরোগ (কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট), হাই অলটিটিউড সিকনেস, দীর্ঘ ট্রেকিং এবং আকস্মিক শারীরিক পরিবর্তনই এই মৃত্যুগুলির প্রধান কারণ। উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। ওই দিন গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী খুলে দেওয়া হয় পুণ্যার্থীদের জন্য। গত ২ মে কেদারনাথ ধামের দ্বার খোলা হয় এবং বদরীনাথ ধাম খুলে দেওয়া হয় ৪ মে। এপ্রিল থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ৮৩ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যুর মর্মান্তিক খবর সামনে এসেছে।