ঘুষ মামলায় ফাঁসলেন আগরতলার বাসিন্দা এক অধ্যাপক!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সিবিআইয়ের মামলায় ফাঁসলেন আগরতলার কলেজটিলার এক ব্যক্তি।তিনি বর্তমানে নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এই ব্যক্তির নাম ড. চিত্তরঞ্জন দেব। ৫৭ বছর বয়সি চিত্তরঞ্জন দেব ১৯৯৭ সালের আগষ্টে লুমানি ক্যাম্পাসে লেকচারার হিসেবে নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বোটানি বিভাগের ডিন হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ছাড়াও টেন্ডার সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা নিয়েছে সিবিআই। গত শনিবার দুর্নীতি দমন আইন,১৯৮৮ (২০১৮ সালে সংশোধিত) এর ধারা ৭ অনুযায়ী সিবিআই মামলাটি নথিভুক্ত করেছে। এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের গুয়াহাটি শাখাকে। মঙ্গলবার সিবিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মামলার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে আসাম, নাগাল্যান্ড এবং আগরতলায় চিত্তরঞ্জন দেবের বাড়ি ও কর্মস্থলে তল্লাশি চালানো হয়েছে।অভিযোগ, ড. দেব বিভিন্ন সময়ে আসামের জোরহাটের জনৈক ব্যবসায়ী তথা জলধারা অয় অ্যান্ডকোম্পানির কর্ণধার রবীন্দ্র কুমার জৈনের কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছেন। প্রায় ৫ লক্ষ টাকার একটি কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়ার পর, আরও ২৩ লক্ষ টাকার সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় অধ্যাপক দেব ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেন। এখানেই শেষ নয়। জোরহাটেরই আরেক ব্যবসায়ী তথা সিএস পাওয়ার সলিউশনের মালিক গুলজার হুসেনের কাছ থেকে ইউপিএস ব্যাটারি ও অন্যান্য সামগ্রীর সরবরাহ আদেশ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সিরিআই জানিয়েছে, রবীন্দ্র জৈনের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত অধ্যাপক গত ১২ জুলাই জোরহাট সফরে গিয়েছিলেন।একই দিনে গুলজার হুসেনের কাছ থেকেও তিনি ১৫,০০০ টাকা ঘুষ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই সিবিআই এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। জানা গেছে, চিত্তরঞ্জন দেব ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতক পাস করে ১৯৯৪ সালে শিলং-এর উত্তর পূর্ব হিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেন। পরে ২০০০ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক একাডেমিক সংগঠনের সদস্য হিসেবেও যুক্ত রয়েছেন। ১৯৯৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর স্থাপিত নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (এই রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) এ প্রথমে লেকচারার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ৭৬টি কলেজ যুক্ত রয়েছে।