December 15, 2025

গ্রাহকদের পকেট কাটছে, বাড়ছে ক্ষোভ,মাশুল বৃদ্ধি করেছে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন!!

 গ্রাহকদের পকেট কাটছে, বাড়ছে ক্ষোভ,মাশুল বৃদ্ধি করেছে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে সামগ্রিকভাবে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সবক্ষেত্রে বেড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবহারের খরচ তথা এনার্জি চার্জ। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ মাসিক স্থায়ী খরচ তথা ফিক্সড চার্জ কয়েকটি ক্ষেত্রে নামমাত্র কমেছে। অথচ গত ১৬ নভেম্বর ত্রিপুরা বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের তরফে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় যে রাজ্যে বিদ্যুৎ মাশুল বাড়বে না, কিছু ক্ষেত্রে কমবে। বাস্তব তথ্য কিন্তু অন্য কথা বলছে। কার্যত কৌশলে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে জানা গেছে, একমাত্র কুঠিরজ্যোতি প্রকল্প সহ সিঙ্গল ফেইজ বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে মাসিক স্থায়ী খরচ আগের থেকে কমে ১৬ টাকা হয়েছে।এছাড়া প্রায় সবক্ষেত্রে বেড়েছে বিদ্যুৎ ব্যবহারের খরচ।২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের হিসাব অনুসারে সাধারণ গ্রামাঞ্চলে বাড়িঘরের সংযোগে মাসিক শূন্য থেকে পঞ্চাশ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ইউনিট পিছু চার টাকা তেইশ পয়সা মাশুল গুনতে হয় গ্রাহকদের। এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে চার টাকা আটচল্লিশ পয়সা। সরকারী ছাড় আগের মতো ইউনিট পিছু ঊনসত্তর পয়সাই রয়েছে। ফলে আখেরে ইউনিট পিছু মাশুল আগের তিন টাকা চুয়ান্ন পয়সা থেকে বেড়ে হয় তিন টাকা ঊনআশি পয়সা। শহর এলাকায় এই খরচ ইউনিট পিছু আগের পাঁচ টাকা আট পয়সা থেকে পাঁচ টাকা আটত্রিশ পয়সা। এক্ষেত্রেও সরকারী ছাড়ের পরিমাণ আগের মতো ইউনিট পিছু সাতষট্টি পয়সা থেকে যায়। ফলে ইউনিট পিছু মাশুল চার টাকা একচল্লিশ পয়সা থেকে বেড়ে হয় চার টাকা একাত্তর পয়সা।মাসে একান্ন থেকে একশ পঞ্চাশ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ইউনিট পিছু আগে গুনতে হয় ছয় টাকা চল্লিশ পয়সা। এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ছয় টাকা আটাত্তর পয়সায়। এক্ষেত্রেও সরকারী ছাড়ের পরিমাণ আগের মতো ইউনিট পিছু বাহান্ন পয়সা রাখায় মাশুল ইউনিট পিছু পাঁচ টাকা অষ্টআশির পরিবর্তে ছয় টাকা ছাব্বিশ পয়সা। একশ একান্ন থেকে তিনশ ইউনিট পর্যন্ত মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ইউনিট পিছু পূর্বের ছয় টাকা ঊনষাট পয়সা থেকে বেড়ে হয় সাত টাকা বারো পয়সা। পূর্বের মতো এবারও এতে সরকারী ছাড়ের সুবিধা নেই। তিনশ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ইউনিট পিছু মাশুল পূর্বের সাত টাকা সত্তর পয়সার স্থলে এখন আট টাকা বত্রিশ পয়সা গুনতে হবে।
থ্রি ফেইজ সংযোগে ইউনিট পিছু মাশুল আগের সাত টাকা সাতানব্বই পয়সার স্থলে এখন হয়েছে আট টাকা বত্রিশ পয়সা। এক্ষেত্রে সরকারী ছাড়ের পরিমাণ আগের দশ পয়সা থেকে বেড়ে সতেরো পয়সা হওয়ায় আখেরে গ্রাহকদের ইউনিট পিছু মাশুল দিতে হবে আট টাকা সতেরো পয়সা করে। দোকানের ও বাণিজ্যিক সংস্থায় পঞ্চাশ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ইউনিট পিছু মাশুল ছয় টাকা তেইশ পয়সা থেকে বেড়ে হয় ছয় টাকা চুয়ান্ন পয়সা। এক্ষেত্রে আগের সরকারী ছাড়ের পরিমাণ ইউনিট পিছু বাষট্টি পয়সা থাকায় গ্রাহকদের আগে ইউনিট পিছু মাশুল দিতে হয় পাঁচ টাকা একষট্টি পয়সা। এখন এর পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ টাকা বিরানব্বই পয়সা। একশ পঞ্চাশ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ইউনিট পিছু আগে গুনতে হয় সাত টাকা দুই পয়সা।এখন হয়েছে সাত টাকা সাঁইত্রিশ পয়সা। সরকারী ছাড়ের পরিমাণ আগের মতো ইউনিট পিছু একান্ন পয়সা থাকায় গ্রাহকদের ইউনিট পিছু ছয় টাকা একান্ন পয়সার স্থলে এখন গুনতে হবে ছয় টাকা ছিয়াশি পয়সা। একশ একান্ন ইউনিটের বেশি মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ইউনিট পিছু মাশুল পূর্বের সাত টাকা একষট্টি পয়সার স্থলে এখন হয়েছে সাত টাকা নিরানব্বই পয়সা। আংশিক বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে ইউনিট পিছু মাশুল পূর্বের সাত টাকা ছিয়াত্তর পয়সার স্থলে এখন হয়েছে আট টাকা সতেরো পয়সা। এক্ষেত্রে আগের ইউনিট পিছু দশ পয়সার তুলনায় সরকারী ছাড়ের পরিমাণ এখন হয়েছে পনেরো পয়সা। ফলে আখেরে ইউনিট পিছু মাশুল দিতে হবে আগের সাত টাকা ছেষট্টি পয়সার স্থলে আট টাকা পাঁচ পয়সা।

থ্রি ফেইজ একক গ্রাহকের ইউনিট পিছু মাশুল পূর্বের সাত টাকা সাতানব্বই পয়সার স্থলে এখন হয়েছে আট টাকা সতেরো পয়সা। সরকারী ছাড়ের পরিমাণ আগের মতো ইউনিট পিছু দশ পয়সা থাকায় গ্রাহকদের আগের সাত টাকা একানব্বই পয়সার স্থলে এখন গুনতে হবে আট টাকা সাতাশ পয়সা। এভাবে জলসেচ সহ প্রায় সবক্ষেত্রে বেড়েছে মাশুল সহ বিদ্যুৎ ব্যবহারের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে শ্মশান, চা, কফি ও রাবার কারখানা সহ শিল্পক্ষেত্রে। বাদ যায়নি পঞ্চায়েত ও স্থানীয় নগর প্রশাসনের উদ্যোগে সামাজিক কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহার এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে। মাশুল এবং ব্যবহারের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে মোবাইল টাওয়ারের জন্য নেওয়া বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *