ঘর ভাঙছে বিজেপির,পাহাড়ে একটিই রাজনৈতিক দল থাকবে ‘তিপ্রা মথা’: প্রদ্যোত!!
কোয়েম্বত্তূরে হস্টেলে স্ত্রীকে নৃশংস খু*ন, মৃতদেহের পাশে বসে সেলফি তুলে পোস্ট করল স্বামী!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তূরে ঘটেছে এক spine-chilling ঘটনা। কর্মসূত্রে হস্টেলে থাকা শ্রীপ্রিয়াকে সেখানে গিয়েই নৃশংসভাবে খুন করলেন তাঁর স্বামী বালমুরুগান। দাম্পত্য কলহের জেরে বহুদিন ধরেই আলাদা থাকছিলেন দু’জনে। শ্রীপ্রিয়া বিবাহবিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়াও শুরু করেছিলেন।
রবিবার স্ত্রীকে দেখতে হস্টেলে যান বালমুরুগান। পুলিশের সূত্রে জানা গিয়েছে, জামার ভিতরে লুকিয়ে তিনি ধারালো অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। শ্রীপ্রিয়ার সঙ্গে কথাবার্তা চলাকালীন আচমকা বচসা শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই বালমুরুগান লুকিয়ে আনা অস্ত্র বার করে শ্রীপ্রিয়ার গায়ে একের পর এক কোপ মারতে শুরু করেন। রক্তাক্ত অবস্থাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তরুণীর।
হস্টেলের ঘর ভেসে যায় রক্তে। চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, আবাসিকরা ছুটে বেরোয়। কিন্তু অবাক করার মতো আচরণ করেন অভিযুক্ত—তিনি নির্বিকার ভঙ্গিতে শ্রীপ্রিয়ার মৃতদেহের পাশে বসে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নিজের ফোন বের করে মৃতদেহের পাশে সেলফিও তোলেন তিনি। সেই ভয়ঙ্কর সেলফি হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে আপলোড করে শান্তভাবে পুলিশের অপেক্ষা করতে থাকেন।
পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। জেরা করে অভিযুক্ত জানান, স্ত্রী নাকি অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং তাঁকে ধোঁকা দিচ্ছিলেন—এই অভিযোগেই তিনি খুন করেছেন।
ঘটনাটি সামনে আসতেই তামিলনাড়ুতে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলগুলি অভিযোগ তুলেছে যে রাজ্য সরকারের (ডিএমকে সরকারের) শাসনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বাড়ছে।
অন্যদিকে ডিএমকে সরকার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যার সঙ্গে রাজ্যের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলার কোনও সম্পর্ক নেই।