দেশি-বিদেশিদের উপচে পড়া ভিড়,আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জম্পুই!!
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে,বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি প্রদ্যোতের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-শাসকদলের নেতাদের শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিলেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তিনি বলেন, আমাদের তরফে আজ পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বের মা-বাবা এবং পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়নি। কিন্তু সোমবার ত্রিপুরা প্রদেশ কার্যালয়ে বসে জনবর্জিত এক শ্রেণীর বিজেপির নেতারা রাজপরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচারে নামলেন। শুধু তাই নয় রাজমাতা বিভু কুমারী দেবী এবং মহারাজা কিরীট বিক্রম মাণিক্যের বিরদ্ধে পর্যন্ত মানহানিকর বক্তব্য রেখেছেন। তিপ্রা মথা দলের সাথে রাজ্যের জনজাতি জনসমাজের বিরুদ্ধে পর্যন্ত মিথ্যাচার করলেন। যা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ বলে সতর্ক করে দিলেন তিনি।প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ তার ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমে মঙ্গলবার বলেন, এই বিজেপি নেতাদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তার দাবি এই অতি উৎসাহী বিজেপি নেতারা নির্বাচনে পরাজিত হবে। এদের ঢাকি সহ বিসর্জন হবে যা বিজেপির হাইকমান্ডেরও জানা রয়েছে। এই সব নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, আমরাও এদের এলাকা ছাড়া করব। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ স্বার্থপর এবং ব্যক্তিগত শ্রীবৃদ্ধির জন্য শাসক দলের এই রাজনৈতিক শিশু নেতারা উপকার এবং স্বীকারের পার্থক্যটাও বুঝতে পারেন না। কেন এদের প্রেস কনফারেন্স বসানো হয় এ নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেন। এই নেতাদের দৌলতে, শাসক দলের নেতারা বিপদে পড়বেন।এই শ্রেণীর নেতাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নালিশ করা হয়েছে।
তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, আগরতলা বিমান বন্দরের নাম মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্যের নামকরণের মাধ্যমে স্বীকার করা হয়েছে। রাজ্যের মান উন্নয়ন করে গিয়েছেন মহারাজারা। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পৌরহিত্যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে খোদ ভারত সরকার স্বীকার করেছে ত্রিপুরাতে জনজাতি জনসমাজ স্বাধীনতার ৭৮ বছরেও বঞ্চিত। ওয়ান নর্থ ইস্ট স্লোগান সম্পূর্ণ উত্তরপূর্ব ভারতের জনজাতি মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য এসেছে। গত ২৭ এ নভেম্বর রাজধানীর আস্তাবল মাঠের জনসভা তা প্রমান করে দিয়েছে। এদিনের জনসভায় এবং তিপ্রা মথার কোনও জনসভায় আজ পর্যন্ত হিংসা হয়নি। শান্তি সম্প্রীতি ঐক্য রক্ষায় আমরা পথে নেমেছি।যা এদের সদ্য হচ্ছে না। তিনি বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির
শর্ত পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, তিনি আমাদের সাথে একমত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা পর্যন্ত আমাদের বলেছেন ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনে পাশে থাকবে রাজ্য সরকার। তাহলে রাজ্য বিজেপির জনবর্জিত নেতারা এত উৎসাহিত কেন হলেন!
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের দাবি জনজাতিদের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করে বর্তমানে একজন জনজাতির হাতেও বন্দুক তুলে দেওয়া যাবে না।এই ভুল রাজ্যে আর হবে না। এমনকী পাহাড়ি বাঙালির মধ্যে দাঙ্গা লাগানো যাবে না। যতই চেষ্টা করুক না কেন। এখন কলমের মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন আসন্ন বোর্ড পরীক্ষায় রোমান স্ক্রিপ্টে ককবরক পরীক্ষা নিতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে সকলকে তিনি পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন।তিনি বলেন, সোমবার এই রাজনৈতিক শিশুর প্রদেশ বিজেপির কার্যালয় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন তারা তিপ্রাল্যান্ড-গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড-সাংবিধানিক সমাধান কিছুই চান না। তারা শুধুমাত্র জনজাতিদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতার মসনদে বসতে ব্যস্ত। জনজাতি জনসমাজের ভবিষ্যৎ যাতে সুরক্ষিত না হয় এর জন্য রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে চাইছেন। অথচ বাস্তব হলো রাজনৈতিক প্রভুদেরই বিজেপি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ১২৫তম সংবিধান সংশোধনী বিলে অনুমোদন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমরা সব অধিকার ফিরে পাবো। মানুষ তাদের ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, আর্থ সামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার, অন্নবস্ত্র বাসস্থানের অধিকার ফিরে পাবে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের, স্কুল, কলেজ, টেকনিকেল কলেজ, উইমেন্স কলেজ, পানীয় জলের সমস্যা নিরসন, বিদ্যুৎ সমস্যার নিরসন, হাসপাতাল সহ আর্টিকেল ২৩-তে অনুমোদন প্রদান ও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন করতে হবে। বিস্ময়ের ঘটনা হলো ত্রিপাক্ষিক চুক্তি চাইছেন না এই জনজাতি বিরোধী নেতারা। তবে ভালো দিক হলো রাজ্যের পাহাড়ি বাঙালি মানুষের কাছে সব ধরা পড়ে গিয়েছে। নির্বাচনে উপযুক্ত জবাব প্রদান হবে। তৈরি থাকুন। তিনি বলেন, রাজ্যের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ক্ষমতার রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ক্ষমতা দম্ভ যা করছেন। ঠিক হচ্ছে না।