ঘর ভাঙছে বিজেপির,পাহাড়ে একটিই রাজনৈতিক দল থাকবে ‘তিপ্রা মথা’: প্রদ্যোত!!
কাঞ্চনপুরে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ধর্মনগরের পর এবার কাঞ্চনপুর মহকুমাতেও ডেঙ্গুর-থাবা। পাহাড়ি শান্ত পরিবেশের মধ্যেই অজান্তে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্কের সংকেত। বৃহস্পতিবার সকালে দশদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে আসা হয় অসিত দাস নামে এক যুবককে। রক্ত পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন অসিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যে মহকুমায় মোট সতেরো জনের দেহে ডেঙ্গুর উপস্থিতি ধরা পড়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, উদ্বেগ বাড়ছে গ্রামে পাহাড়ে। দশদা, লালজুরি, আনন্দবাজার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। জানা গেছে গত এক সপ্তাহে গোটা জেলায় জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক মহলও তৎপর হয়ে ওঠে। শুরু হয় রক্ত পরীক্ষা, বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীর নজরদারি। কিন্তু উত্তর জেলায় সংক্রমণের গ্রাফ নামছে না। জমা জল নিকাশের অভাব, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং মানুষের অসতর্কতাকেই দায়ী করছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। দশদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি অসিত দাসের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেলেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারতো। তাই জ্বর ও শরীর ব্যথা দেখা দিলে অবিলম্বে পরীক্ষা করাতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। আক্রান্ত অন্য রোগীরা বাড়িতেই চিকিৎসাধীন তবে স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ মানুষ এখনও ডেঙ্গুকে সাধারণ ভাইরাল জ্বর ভেবে অবহেলা করছে। মহকুমাজুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কতটা গুরুতর – সে সম্পর্কে সরকারী মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এতে মানুষের মধ্যে আরও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছে স্বাস্থ্য দপ্তর যদি দ্রুত সতর্কতা জারি না করে তাহলে সংক্রমণ আরও বিস্তৃত হতে পারে। দশদার এক সামাজিক সংস্থা মানুষকে সচেতন করছে। জমে থাকা জল ফেলে দিতে, পাত্র ঢেকে রাখতে, মশারি ব্যবহার করতে এবং বাড়ির আশেপাশে দিনে-রাতে হাত-পা ঢাকা পোশাক পরতে। এখনই সঠিক উদ্যোগ না নিলে রোগটি শীতের মরশুমে স্বস্তি দেবে না। ইতিমধ্যে অনেক পরিবার শিশু এবং বয়স্কদের নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। দশদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তার ও নার্সরা টানা কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ জ্বর নিয়ে আসছে আর রক্ত পরীক্ষা রিপোর্টের অপেক্ষায় কাটছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেককে আবার পে লটলেট কমে যাওয়ার আশঙ্কায় পুনরায় পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।মহকুমা প্রশাসনও পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে। মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয় এবং প্রকৃত সতর্কতা মেনে চলে সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পাহাড়ি জনপদের ডেঙ্গুর বিস্তার যে অস্বাভাবিক তা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও মানছে।ডেঙ্গুর টানা দাপটে আতঙ্ক বেড়েছে বটে তবে সচেতনতা আর সময়মতো চিকিৎসাই
পারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে। প্রশাসন স্বাস্থ্য দপ্তর এবং সাধারণ মানুষ সকলেরই প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ না হলে এই পাহাড়ি মহকুমার ছোট ছোট গ্রামগুলোর জীবনযাত্রা হয়ে পড়তে পারে বিপর্যস্ত।