কর হ্রাসের আগেই বাড়ছে নির্মাণ সামগ্রীর দাম, শঙ্কা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- নির্মাণ সামগ্রীতে জিএসটি হার কমানোর সরকারী ঘোষণায় রাজ্য জুড়ে খুশির হাওয়া। বিশেষত গরিব মানুষ ও আবাসন প্রকল্পের উপভোক্তারা অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। ফ্ল্যাট নির্মাণ শিল্পও আশাবাদী। তবে বাজারে ইতিমধ্যেই নতুন গুঞ্জন, কর কমলেও কি দাম কমবে? নাকি আবারও কোম্পানির মুনাফার খেলায় ভেস্তে যাবে সাধারণ মানুষের আশা? সিমেন্টের জিএসটি এতদিন ছিল আটাশ শতাংশ। এবার নামিয়ে আনা হলো আঠারো শতাংশে। অর্থাৎ এক ঝটকায় দশ শতাংশ কর হ্রাস। হিসাব বলছে, প্রতি ব্যাগ ভারতীয় সিমেন্টে গড়ে কমবেশি অন্তত চল্লিশ টাকা দাম কমা উচিত। বাংলাদেশি সিমেন্টের দাম কম হওয়ায় তুলনায় মূল্য হ্রাস কিছু কম হবে।নির্মাণ কাজে সিমেন্ট প্রধান উপকরণ হওয়ায় এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বাড়ি তৈরির সামগ্রিক খরচে।
শুধু সিমেন্ট নয়, ইট ও ব্লকেও কমেছে কর। আগে যেখানে বারো শতাংশ জিএসটি ছিল, এখন তা নেমে এসেছে পাঁচ শতাংশে। অর্থাৎ এক লাফে সাত শতাংশ দাম কমার সুযোগ। এতে গ্রামীণ থেকে শহুরে সব ধরনের নির্মাণেই খরচ কিছুটা হলেও হাল্কা হবে বলে আশা।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধাভোগীরা এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি খুশি। এতদিন সরকারী অর্থ সাহায্যে ঘর তৈরি সম্ভব হয়নি বলে বহু পরিবার ঘর অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রেখেছিল। এবার নির্মাণ সামগ্রীর দামে ছাড় এলে তারা ঘর বানানোর কাজ ফের শুরু করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কিন্তু বাজারে শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। গুঞ্জন উঠেছে তবে সবটা কি এতটাই সহজ? এখানেই বড় প্রশ্ন। বাজার বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই সিমেন্টের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে কর কমলেও আসল সুবিধা পৌঁছাবে কি সাধারণ মানুষের ঘরে? নাকি কর ছাড়ের ঘোষণাকে ঢাল বানিয়ে আবারও বাড়তি মুনাফা তুলবে বড় কোম্পানিগুলি?
অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকার যদি বাজারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ না করে তবে জিএসটি কমানোর আসল সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবেন না। এমনই যদি সিমেন্ট ও ইটের দামে কড়াকড়ি নজরদারি না হয় তবে কর ছাড় কেবল কাগুজে থেকে যাবে।
একদিকে সরকার ঘোষণা করেছে বাইশ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন হার কার্যকর হবে, অন্যদিকে বাজারে উঠেছে শঙ্কার মেঘ। তাই সাধারণ মানুষের মুখে এখন একটাই প্রশ্ন, জিএসটি কমলো,কিন্তু দাম কি সত্যিই নামবে?