August 2, 2025

কর্মচারীদের ডিএ ব্যবধান হ্রাসের চেষ্টা চলছে: মুখ্যমন্ত্রী!!

 কর্মচারীদের ডিএ ব্যবধান হ্রাসের চেষ্টা চলছে: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- ডেন্টাল মেডিকেল অফিসার, নার্সিং অফিসার এবং কমিউনিটি হেলথ অফিসারদের রাজ্যভিত্তিক এক প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করা হয় বৃহস্পতিবার। প্রজ্ঞা ভবনে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এই শিবিরের উদ্বোধন করেন। ন্যাশনাল ওরাল হেলথ ও ন্যাশনাল হেলথ মিশন নিয়ে দুদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে ত্রিপুরা ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন, আগরতলা ডেন্টাল কলেজ ও আইজিএম হাসপাতাল। অনুষ্ঠানে পতাকা নেড়ে এ দিন কৈলাসহর হাসপাতাল এবং বিশালগড় হাসপাতালের জন্য দুটি ব্লাড কালেকশন ট্রান্সপোর্টেশন ভ্যানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী একদিকে যেমন কর্মচারীদের উদ্দেশে আরও বেশি করে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান, তেমনি সরকারী কর্মচারীদের ডিএ ব্যবধান হ্রাস করারও ইঙ্গিত দিলেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে কর্মচারীদের ডিএ ব্যবধান যাতে কমানো যায়। এছাড়াও এদিন তিনি তার ভাষণে রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে পার্টি অফিসের মাধ্যমে চাকরি বিলি করতো বামফ্রন্ট সরকার। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চাকরি প্রদান করছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, আমরা বিভাজনের নীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা দীর্ঘ সময় ধরে শাসন ব্যবস্থায় ছিলো তারাই এ ধরনের বিভাজনের নীতি অনুসরণ করে চলছিলো।



প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে চাকরি বিতরণের অভিযোগ তুলেছেন। তবে এই অভিযোগটি কিসের ভিত্তিতে করা হলো? তাদের আমলে তো পার্টি অফিস থেকেই এই কাজ করা হয়েছিলো।’ আমরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ১৯,০০০ এর অধিক চাকরি প্রদান করেছি। এই স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কেউ-ই চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি। তাদের জমানায় ১০,৩২৩ শিক্ষকের মামলা এখন ইতিহাসেরই অংশ। পাল্টা অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এ দিন বলেন, মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে সিপিআইএম। তিনি বলেন, আগে সরকারী কর্মীদের ডিএ আদায় করতে আন্দোলন পর্যন্ত করতে হতো। কিন্তু আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কোনও কর্মচারীকেই আন্দোলন করতে হয়নি। আমি কেন্দ্রের সাথে ডিএ ব্যবধান হ্রাস করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। বদলি নীতি নিয়েও সিপিআইএমের বিরুদ্ধে প্রায় একই ধরনের অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য সহ নার্সিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র রাজধানী আগরতলাতেই নয়। রাজ্যের জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালগুলিতেও আধুনিক চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে। লিভার এবং হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার মতো পরিকাঠামোও যে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য কর্মচারীদের পাশাপাশি এ দিন চিকিৎসা পরিষেবার সাথে যুক্ত বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের আরও বেশি আন্তরিক হওয়ারও আহ্বান জানালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলি পরিচালনার জন্য রাজ্য সরকার হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট নিয়েও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। এ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার, পরিার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস, মেডিকেল এডুকেশনের অধিকর্তা ডা. এইচ পি শর্মা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের যুগ্ম অধিকর্তা অলক দেব, আগরতলা সরকারী ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শালু রাই সহ অন্যান্য বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *