শবরীমালা দর্শনে গিয়ে হেলিপ্যাডে আটকে গেল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু!!
কমিউনিস্টরা সন্ন্যাসী বেশে রাবণের রূপ: বিপ্লব দেব!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-কমিউনিস্টরা সন্ন্যাসী বেশে রাবণের রূপ। মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক স্বার্থ আদায় করাই প্রধান লক্ষ্য কমিউনিস্টদের। সোমবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার মুহুরীপুরে আয়োজিত ১৯তম রাজ রাজেশ্বরী পর্যটন উৎসবের উদ্বোধন করে এভাবেই কমিউনিস্টদের নিশানা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। এই প্রসঙ্গে শ্রীদেব বলেন, সীতাকে হরণ করার সময় রাবণ সন্ন্যাসীর রূপ নিয়ে এসেছিল। ভূত যেমন নানা রূপে আসে, তেমনি কমিউনিস্টরাও সন্ন্যাসীর বেশ ধারণ করে মানুষের সামনে গিয়ে উপস্থিত হয়। আর তাদের ফাঁদে পা দিলে দেখবেন রাবণের প্রকৃত রূপধারণ করে লঙ্কায় নিয়ে গিয়ে উপস্থিত হবে। ভূতের সামনে গায়ত্রী মন্ত্র জপ করলেও ভূতের মুখে কখনওই রাম নাম আসে না, তেমনই কমিউনিস্টরাও। রাক্ষসবংশীয় রাবণকে যেমন তার স্ত্রী শতবার বোঝানোর পরেও সে সংশোধিত হয়নি, তেমনি কমিউনিস্টরাও শোধরাবার নয়। এভাবেই তিনি এ দিন কমিউনিস্টদের নিশানা করেন।
বিপ্লব কুমার দেব আরও বলেন, কোনো কিছু করার ইচ্ছাই মানুষকে বিজয়ী করে। কিন্তু সেই বিজয়লাভমানুষের কল্যাণে হওয়া উচিত, নিজের জন্য নয়। কমিউনিস্টরা ত্রিপুরায় বারবার বিজয়ী হয়েও মানুষের জন্য কিছু করেনি। তারা করেছে শুধুমাত্র পার্টির জন্য। ত্রিপুরার মানুষের একবার চিন্তা করা উচিত, ৩৫ বছর তাদের শাসন ক্ষমতায় রেখে রাজ্যের কী লাভহয়েছে।
তিনি বলেন, কমিউনিস্ট শাসনে মানুষ আরও গরিব হয়েছে। এরাই ত্রিপুরার মানুষকে গরিব করে রেখেছিল। রাজ্যে গরিবের সংখ্যা কমিউনিস্টদের সৃষ্টি। ২০১৬ পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের বাজেট ছিল মাত্র ১৫ হাজার কোটি। কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকারের বাজেট প্রায় সাড়ে সাত বছরের মধ্যেই প্রায় দ্বিগুণের অধিক হয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন, মাতা পিতার মৃত্যুতে মাথা মুন্ডন করা, গুরুদীক্ষা নিয়ে তুলসীর মালা ধারণ, মন্দিরে যাওয়া, পূজার্চনা করা কমিউনিস্ট নীতির বিপরীত।
এর পরিবর্তে তাদের মিছিলের লাইন ‘লম্বা করে মানুষের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। জাতি-জনজাতির মধ্যে দাঙ্গা, রাজনৈতিক ক্রুরতা, রাজনৈতিক খুন, সন্ত্রাস, সংকীর্ণ মানসিকতা, নেগেটিভ চিন্তাভাবনা, একে অপরের বিরুদ্ধে লেগে থাকা এই গুণগুলো তাদের দ্বারা মানুষের মধ্যে প্রচলিত হয়েছিল।রাজ রাজ্যেশ্বরী মন্দিরের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে প্রায় ১০ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে জানান বিপ্লব কুমার দেব।
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, বিলোনীয়া যোগমায়া কালী মন্দির এবং সাব্রুমের দৈত্যেশ্বরী কালী মন্দিরের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এই তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, এই তিনটি মন্দিরের উন্নয়ন হলে তাকে নির্ভর করে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশ হবে। এর ফলে পর্যটকদের আগমন বাড়বে।পাশাপাশি রোজগার এবং উপার্জন দুটিই বৃদ্ধি পাবে।যেভাবে প্রসাদ প্রকল্পে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের উন্নয়ন হয়েছে, ঠিক একইভাবে এই তিনটি মন্দিরেরও উন্নয়ন হবে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন, আগামী বছর দীপাবলির মধ্যেই এই প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু হয়ে যাবে।
এ দিন পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। যে পুণ্যভূমি থেকে এতসব মনীষী এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উঠে এসেছেন, সেই গরিমাকেও কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পরিবর্তন হয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।