ওষুধ ক্রয়ে বড় ঘোটালায় নাম জড়ালো আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের!!

 ওষুধ ক্রয়ে বড় ঘোটালায় নাম জড়ালো আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-এবার ওষুধ ক্রয় কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ালো রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের।বিশেষ আর্থিক লাভের জন্য বাঁকা পথে নিম্নমানের ওষুধ ক্রয় করছে স্টেট আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে ঘুমে রেখে জীবনদায়ী ওষুধ ক্রয়ের নামে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়ে গেলো রাজ্য সরকারের আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে। শুধু তাই নয়, ওষুধ ক্রয় দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে গেলো খোদ রাজধানীর ডেপুটি ড্রাগস কন্ট্রোলারের কার্যালয়ও। সম্প্রতি এমনই তথ্য এবং অভিযোগ উঠে এসেছে।
রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ডেপুটি ড্রাগস কন্ট্রোলার কার্যালয়ের সীলমোহর প্রদান করা নিম্নমানের ওষুধ রাজ্যবাসীর পেটেও প্রবেশ করেছে। গত ছয় মাস ধরে এই বিষাক্ত ওষুধ সেবনের পর হাজারো রোগী বমি, পেটের সমস্যা ও ডায়ারিয়ার মতো নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকী নিম্নমানের ওষুধ খেয়ে ডায়াবেটিস রোগীদেরও বহুমুখী সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অথচ যে রোগ নিরাময়ের জন্য রোগীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওষুধ সেবন করেছিলেন উক্ত রোগ নিরাময় হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো তাদের অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে হয়েছে। অবাক করার বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত শীতঘুমে রাজ্য সরকার।এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল এবং রাজধানীর ডেপুটি ড্রাগস কন্ট্রোলার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের প্রধান পদে সম্প্রতি জনৈক ডাক্তার ভৌমিককে দায়িত্বভার প্রদান করা হয়।অভিযোগ, তিনি প্রধান পদে বসার পর রাজ্য সরকারের (ওষুধ ক্রয়ে) বর্তমান নিয়মকে লঙ্ঘন করে বহিঃরাজ্য থেকে ওষুধ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। এতকাল ত্রিপুরা সরকারের নিয়ম ছিল, ভারত “সরকারের নির্বাচিত কোম্পানিগুলি থেকে আয়ুর্বেদিক ওষুধ ক্রয় করা হবে। “অভিযোগ, এবার রাতারাতি আগের নিয়ম বাতিল করে, বর্তমান প্রধান রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের ওষুধ ক্রয়ের টেন্ডার দিয়েছেন। এমনকী রাজ্য সরকারকে ঘুমে রেখে হরিদ্বারের এক কোম্পানিকে আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে “ওষুধ সরবরাহ করার বরাত দিয়েছেন।শুধু তাই নয়, ওষুধ সরবরাহের বরাত পাওয়া হরিদ্বারের ভুঁইফোঁড় কোম্পানির স্যাম্পল নাম্বার AY/03/MKS/2024-DADIMASTAKA CHURNA ওষুধটির গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে দিলেন রাজধানীর ডেপুটি ড্রাগস কন্ট্রোলার কর্তৃপক্ষ।গত চার জানুয়ারী ডেপুটি ড্রাগস কন্ট্রোলার এক নির্দেশে রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন DADIMASTAKA CHURNA ওষুধটি গুণমানের নিরিখে সর্বশ্রেষ্ঠ।অথচ এই ওষুধ সেবনের পরই রাজ্যের রোগীরা অন্যান্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন ক্ষমতাবলে এবং কীভাবে ডেপুটি ড্রাগস কন্ট্রোলার ওই ওষুধ ব্যবহারের স্বীকৃতি দিয়েছেন?এ নিয়ে নানা খ্রিশ্ন উঠছে।অভিযোগ,প্রথমে আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোটা টেন্ডার প্রক্রিয়া কারসাজি এবং টেন্ডারের মানদণ্ড বিকৃত করে প্রথমে হরিদ্বারের কোম্পানিকে ওষুধ প্রদানের দায়িত্ব দিয়েছে। এরপর আবার আইন লঙ্ঘন করে রাজ্য সরকারের ডেপুটি ড্রাগস কন্ট্রোলার DADIMASTAKA CHURNA ওষুধকে সেবনের স্বীকৃতি প্রদান করেছে।এরপর গত জানুয়ারী মাস থেকে সারা রাজ্যের আয়ুর্বেদিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এবং স্টেট আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে এই ওষুধ ।বিতরণ করা হয়। আর নিম্নমানের ওষুধ সেবনের পর নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেন গ্রাম, পাহাড় ও শহরের এবং রাজধানীর হাজারো রোগী। প্রায় ছয় মাস এই নিম্নমানের ওষুধ সেবনের পর সারা রাজ্যে রোগীদের অন্য সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার খবরে শেষপর্যন্ত টনক নড়ে রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ডেপুটি ড্রাগস কন্ট্রোলার কর্তৃপক্ষের।এরপর একপ্রকার বাধ্য হয়ে গত সতেরো চরমে, DADIMASTAKA CHURNA ওষুধ ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিলেন রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং বর্তমান প্রধান। মএরপরই পুরো বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, রাজ্য আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে ওষুধ ক্রয়ের আড়ালে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়ে গিয়েছে।তবে এখনও এই ঘটনায় নীরব
দর্শকের ভূমিকায় রাজ্য সরকার।এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.