August 2, 2025

এসএমএস পাঠিয়ে ফোনের লোকেশন জানা সম্ভব, ত্রুটি খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা।

 এসএমএস পাঠিয়ে ফোনের লোকেশন জানা সম্ভব, ত্রুটি খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা।

এই মুহূর্তে আপনার সন্তান কোথায় আছে, তার ফোনে আপনি শুধু একটা সামান্য এসএমএস পাঠালেই জেনে যাবেন। কিংবা ধরুন,কোনও দম্পতি যদি একে-অপরকে মিথ্যা কথা বলে কোথাও ডেটিংয়ে গেলেন, সে ক্ষেত্রেও তার স্মার্টফোনে শুধু একটা এসএমএস পাঠিয়ে দিলেই জেনে ফেলা যাবে,আপনার উদ্দিষ্ট মানুষটি সেই মুহূর্তে ঠিক কোথায়। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের এসএমএসের নিরাপত্তায় এমনই গুরুতর ত্রুটির সন্ধান পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষায়তন নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তারা দাবি করেছেন, স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় এই ত্রুটির কারণে হ্যাকাররা দূর থেকে যে কোনও ব্যক্তির ‘লোকেশন ’ তথা অবস্থানগত তথ্য সহজেই জেনে নিতে পারছেন।ফলে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর অবস্থান বুঝে বিভিন্ন ধরনের সাইবার হামলা চালানো সম্ভব হচ্ছে। গবেষকরা এসএমএস লোকেশন ট্র্যাকিং ত্রুটি সম্পর্কে সতর্ক করে জানিয়েছেন, আপনার ফোনের মাইক্রোফোন চালু করে আপনার ও আশপাশের কথা শুনে নিতে পারবেন হ্যাকাররা। ক্যামেরাও চালু করতে পারবে। গবেষকরা দেখেছেন, স্মার্টফোনে কোনও বার্তা পাঠালে প্রেরকের ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা পৌঁছানোর সংকেত চলে যায়। ফলে প্রেরক জানতে পারেন, বার্তাটি প্রাপকের কাছে পৌঁছেছে। গবেষকদের মতে,এই সংকেতের কারিগরী ত্রুটি কাজে লাগিয়েই বার্তা প্রাপকের অবস্থান জানা যায়। আর তাই নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোন নম্বরে একাধিক বার্তা পাঠিয়ে সেগুলির ফিরতি সংকেত মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে পর্যালোচনা করলেই সেই ব্যক্তির অবস্থানের তথ্য জানা সম্ভব। ফলে কোনও ব্যক্তির ফোন নম্বরে একাধিক অপ্রয়োজনীয় এসএমএস বার্তা পাঠিয়ে সহজে তার অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে হ্যাকাররা।গবেষক দলের প্রধান ইভানজেলস বিটসিকাস জানিয়েছেন, স্মার্টফোনের এই ত্রুটি কাজে লাগিয়ে যে কোনও ব্যক্তির ফোন নম্বর জানা থাকলেই দূর থেকে গোপনে তার অবস্থান শনাক্ত করা যায়। এমনকী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারীদের অবস্থানের তথ্যও এ পদ্ধতিতে জানা সম্ভব। এমনকী, বার্তা আদান- প্রদানের জন্য স্মার্টফোনে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপটেড সুরক্ষা পদ্ধতি চালু থাকলেও নিরাপত্তা এই ফাঁক কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীর অবস্থান জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *