August 1, 2025

এসআইআর লাগুর বিষয় বিজেপির হাতে নেই: বিপ্লব!!

 এসআইআর লাগুর বিষয় বিজেপির হাতে নেই: বিপ্লব!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ইস্যুকে কেন্দ্র করে তিপ্রা মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ যে মন্তব্য করেছেন, তা পুরোপুরিভাবেই দলীয় অভিমত। রবিবার রামনগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন কি বাত অনুষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বললেন, বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশ নিয়ে কে কী চাইবে না
চাইবে, সে আলাদা বিষয়।তবে দেশের নাগরিকদের স্বার্থেই বলুন আর
বিহারবাসীর স্বার্থেই বলুন,এসআইআর যে চালু হচ্ছে বিহারে এটা নিশ্চিত। দেশের নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।এসআইআর (ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনী) লাগু করার বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির কোনো হাত নেই।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাতদিন ধরে স্তব্ধ সংসদ। কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলের নেতৃত্বের দাবি বাতিল করতে হবে এসআইআর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বললেন, না এটি সংসদের বিষয়, না এটি ভারতীয় জনতা পার্টির বিষয়। অথচ ভিমরতি চেপে বসেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। তার কথা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে ভোটাধিকার আছে, তা ঠিক। তবে সবার নয়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কেউ পাকিস্তান থেকে আসবে কেউ বাংলাদেশ থেকে আসবে তবে কি তাদেরকেও ভোটাধিকার দিতে হবে? দেশের নাগরিক হলে নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী যারাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তারা সকলেই ভোট দেবেন। বিহারে যে এসআইআর চালু করা হচ্ছে তার নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, এটি বিহারবাসী তথা দেশবাসীর স্বার্থেই করা হচ্ছে।নির্বাচন কমিশনই এটি নিশ্চিত করলো।এদিকে, মন কি বাত নিয়ে এ দিন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বামেদেরকে একপ্রকার তুলোধুনো করে ছাড়লেন।বললেন, দল মত নির্বিশেষে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত সকলেরই শোনা উচিত। সবার আগে কমিউনিস্টদেরই শোনা উচিত। কারণ তারা কাজ করে না। মানুষকে ক্যাডার বানায়, শোষণের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত শুনলে একদিকে যেমন উপকৃত হবেন কমিউনিস্টরা, তেমনি তাদের পরিবারের সদস্য সদস্যারাও উপকৃত হবেন এ থেকে। কারণ প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে নিজের কোনো কথা বলেন না। যা বলেন, তা সফল কোনো ব্যক্তিরই কাহিনি। নকশালদের একটি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কমিউনিস্টদের অন্তিম রূপ হচ্ছে এই নকশাল। তিনি আরও বলেন, আগে এ রাজ্যে জাতীয় সড়কের সংখ্যা ক’টাই বা ছিল! আর এখন ২২ হাজার কোটি টাকার (জাতীয় সড়কের) কাজ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।যেসব ক্ষেত্রে সংস্কারের অভাব দেখা দিয়েছে, তা-ও আবার আমরাই করছি।কাজ হয়েছে বলেই সংস্কারের প্রশ্ন আসছে বলে মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *