দেশি-বিদেশিদের উপচে পড়া ভিড়,আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জম্পুই!!
এডিসি ও ভিলেজ তিপ্রা মথার দখলে থাকবে দাবি পূর্ণচন্দ্রের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আসন্ন এডিসি নির্বাচনে ২৬টি আসন নিয়ে পাহাড় দখল করবে মথা। শুধু তাই নয় ভিলেজ কমিটি ৫৮৭টি আসনের মধ্যে ৯০ শতাংশ আসনে জয়ী হবেন মথার প্রার্থীরা। রাজ্যের পাহাড়ের মানুষ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন। এটাই বাস্তব। জাতীয় দলকে পাহাড় দখল করতে দেবেন না জাতি-জনজাতি অংশের মানুষ। আজ সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই দাবি করলেন এডিসি কার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া।তিনি বলেন, জাতীয় দল শাসকদলের নেতারা রাজধানীতে সাংবাদিক সম্মেলনে বসে অনেক স্বপ্ন দেখতেই পারেন। জনবর্জিত নেতারা রাজধানীতে বসে লন্ডন দখলের স্বপ্ন দেখারও অধিকার রয়েছে।যদিও স্বপ্ন ভাঙলে দেখা যাবে জাতীয় দলের ঢাকি
সহ বিসর্জন হচ্ছে।মঙ্গলবার রাজধানীর চন্দ্রমহলে যোগদান শিবির করেছে তিপ্রা মথা।এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ভোটাররা মথায় শামিল হন। মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মাকে পাশে বসিয়ে এডিসি কার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া বলেন, শেষ এডিসি নির্বাচনে ২৮টি আসনে মথার প্রার্থীরা ১৮টি আসনে বিপুলভাবে জয়ী হন। এরপর আরও একজন নির্বাচিত প্রার্থী মথায় শামিল হন। বর্তমানে তিপ্রা মথার ১৯ জন এমডিসি রয়েছেন। ২০২৬ সালে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২৬ আসনে। গত ২৭ নভেম্বর রাজধানীর আস্তাবল মাঠে মথার ‘ওয়ান নর্থ ইস্ট’ জনসভায় জনজাতি মানুষের সক্রিয় উপস্থিতি দেখে অনেকেরই রাতের ঘুম নেই। পায়ের নিচের মাটি পর্যন্ত নেই। এখন এই জনবর্জিত নেতাদের বক্তব্য শুনে পাহাড়ের মানুষ হাসছেন।তিনি বলেন, জনজাতি মানুষকে ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকী অর্থ দিয়েও আমাদের ভোেট কেনা যাবে না। আমাদের কাছে জাতি আগে – দল পরে।ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার লড়াইয়ে নেমেছি আমরা।তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূয়শী প্রশংসা করে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পৌরোহিত্যে ভারত সরকারের সাথে আমাদের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শাসকদলের একাংশ অতিউৎসাহী নেতা ত্রিপাক্ষিক চুক্তি নিয়ে ঘুরিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই যা খুশি তাই বলছেন। বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না। এদেরকে কর্মফল ভুগতেই হবে।
মন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা বলেন, রাজ্যে তিপ্রা মথা ছাড়া কোনও জাতীয় দল ২০২৮ সালে ত্রিপুরা বিধানসভায় ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। এই সত্যটা নয়াদিল্লীর কেন্দ্রীয় নেতারা ভালো করেই জানেন। রাজ্যে যারা পরাজয় নিশ্চিত যেনে ভিলেজ কমিটির নির্বাচন করছেন না। তারা আবার দেখবেন নির্বাচনের আগে ও পরে ক্ষমতা উপভোগ করতে আমাদের কাছেই আসবেন। বিশ্বাস ঘাতকদের কোনও নীতি নেই। এদের মূল উদ্দেশ্য মানুষের সাথে প্রতারণা করতে হবে।
তার দাবি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ১২৫তম সংবিধান সংশোধনী বিলে অনুমোদন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমরা সব অধিকার ফিরে পাবো। মানুষ তাদের ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, আর্থ সামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার, অন্নবস্ত্র বাসস্থানের অধিকার ফিরে পাবে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের, স্কুল, কলেজ, টেকনিকেল কলেজ, উইমেন্স কলেজ, পানীয় জলের সমস্যা নিরসন, বিদ্যুৎ সমস্যার নিরসন, হাসপাতাল সহ আর্টিকেল ২৩-তে অনুমোদন প্রদান ও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন করতে হবে। বিস্ময়ের ঘটনা হলো ত্রিপাক্ষিক চুক্তি চাইছেন না এই জনজাতি বিরোধী নেতারা।তবে ভালো দিক হলো রাজ্যের পাহাড়ি বাঙালি মানুষের কাছে সব ধরা পড়ে গিয়েছে। নির্বাচনে উপযুক্ত জবাব প্রদান হবে।