September 5, 2025

একযোগে সব রাস্তায় কাজ শহর জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা!!

 একযোগে সব রাস্তায় কাজ শহর জুড়ে চরম বিশৃঙ্খলা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-শহরবাসীর ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে স্মার্ট সিটি প্রকল্প! রাজধানী আগরতলায় সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলছে রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের কাজ। অথচ এসব কাজের মূল সময় হওয়া উচিত ছিল রাতে। যখন শহর ঘুমিয়ে পড়ে ও যান চলাচল কম থাকে।কিন্তু তা না করে চলছে উল্টোটা। ফলে দিনের পর দিন নাকাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বাজার হাটে পা রাখা দায়।যানবাহন নিয়েও বের হওয়া যাচ্ছে না। একদিকে রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে ড্রেনের মাটি গাদাগাদি করে চলাচলের রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে রাস্তা সঙ্কুচিত হয়ে তৈরি হয়েছে গলিপথ। ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেলেও রাস্তায় ফেলে রাখা মাটি সরানো হচ্ছে না। এসব মাটি সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার ও মুক্ত রাখা উচিত ছিল।এ ব্যাপারে স্মার্ট সিটি কর্তৃপক্ষ, পুর নিগম,পরিবহণ দপ্তর, ট্রাফিক দপ্তর, মহকুমা ও জেলা প্রশাসন কেউ কিছু বলছে না। ইউটিলিটি পাইপ বসানোর জন্য বহু স্থানে রাস্তার মাঝ বরাবর কাটা হয়েছে।
কাটা অংশ ক্রস ড্রেনে পরিণত।ছোট গাড়িগুলি দুর্ঘটনায় পড়ছে।জটের পর জট তৈরি হচ্ছে অফিস সময়ে। ব্যবসায়ীরাও ক্ষুব্ধ। দোকানের সামনে মাটি- ধুলো জমে থাকায় ক্রেতারা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। বেচাকেনা একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর পৌরোহিত্যে সচিবালয়ে পূর্ত দপ্তর ও স্মার্ট সিটি আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক বসে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শহরের এই দুরবস্থা নিয়ে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা নেই, সেখানে দিনের ব্যস্ততম সময়ে রাস্তা খুঁড়ে রাখার বুদ্ধি কার? স্মার্ট সিটি কর্তৃপক্ষকে জনদুর্ভোগ যাতে কম হয় নজর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা বলছেন, কাজের ধরনই অবৈজ্ঞানিক। এক পাশ শেষ না করেই অন্য পাশে ড্রজার নামিয়ে পুরো শহরকেই অচল করে ফেলা হচ্ছে। সব রাস্তায় একসাথে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হওয়ায় যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। শহর জুড়ে ভাঙাচোরা রাস্তার চেহারা দেখে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এত তাড়াহুড়োর কারণ কী? শহরবাসীর অভিমত, সামনে শুখা মরশুম। পুজোর পর ধীরে সুস্থে পরিকল্পনা করে কাজ করলেও সময় যথেষ্ট থাকতো। তবুও দিনের পর দিন ব্যস্ততম সময়ে রাস্তা খুঁড়ে রাখা এবং রাতের খালি সময়ে কাজ না করা এর পেছনে ‘অন্য রহস্য’ লুকিয়ে আছে কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে, স্মার্ট সিটি প্রকল্প এখন স্মার্ট ভোগান্তির প্রতিশব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে শহরের মানুষজনের কাছে। প্রশ্ন একটাই, কবে মিলবে মুক্তি এই অচলাবস্থা থেকে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *