এআই, ফাইভ জি বিকাশে বড় সাফল্য রাজ্যে: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- নয়াদিল্লীতে শুক্রবার ‘রাইজিং নর্থ ইস্ট ইনভেস্টর্স সামিট ২০২৫’-এ অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বললেন, এআই এবং ফাইভজি উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকাঠামোর আরও বিকাশ সাধন করছে রাজ্য সরকার। আরও ঘোষণা করলেন যে ত্রিপুরা সরকার ডেটা সেন্টারের জন্য জমি বরাদ্দ করেছে। এটি আগরতলায় অবস্থিত এবং যা ভারতের গোটা পূর্ব এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যতম হাব হিসেবে কাজ করবে। এদিন আয়োজিত ইভেন্টের শিরোনাম ছিল ‘আইটি ফর অষ্টলক্ষ্মীঃ বিয়ন্ড দি বিটস এবং বাইটস, ইনটু এআই অ্যান্ড ফাইভ জি। মঞ্চে তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, আজ আমি আমার রাজ্য ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এবং ফাইভ জি সম্পর্কে কথা বলার সুযোগ পাওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি। আমি এই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট আয়োজনের জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানাই। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ফাইভ জি দ্রুত এবং কম সময়ের মধ্যে তথ্য প্রেরণ করতে পারে। এআই বিস্তৃত প্রক্রিয়াগুলি স্বয়ংক্রিয় করতে দক্ষ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালনাগত জটিলতা হ্রাস করে। যার ফলে আরও গতি, দক্ষতা এবং ব্যয় সাশ্রয়ে সহায়ক হয়। ডা. সাহা বলেন, এটি ফাইভ জি এবং এআই-এর মধ্যে একটি প্রতীকী সম্পর্কযুক্ত। এআই প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে সংযোগের ব্যয় হ্রাস অব্যাহত রাখে। ফাইভ জি এবং এআই-এর রূপান্তর শুধু গতি নয়, এটি পরবর্তী প্রজন্মের কার্যকলাপের নানা চাহিদা পূরণ করতে চলেছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এককথায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে রাজ্যে।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ত্রিপুরা ফাইভ জি পরিষেবা গ্রহণের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। সমস্ত শহর এবং ৫৮৩টি গ্রামকে ইতিমধ্যেই এক্ষেত্রে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বলেন, টেলি যোগাযোগকে উন্নত করার জন্য পলিসি তৈরি করেছে ত্রিপুরা। ইনফরমেশন টেকনোলজি পলিসি ২০২২ এবং ডেটা সেন্টার পলিসি ২০২১ সহ টেলিকম পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য পলিসি তৈরি করেছে রাজ্য। ত্রিপুরা সরকার ডেটা সেন্টারগুলির জন্য জমিও বরাদ্দ করেছে। এটি আগরতলায় অবস্থিত, যা দেশের গোটা পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি ত্রিপুরা সরকার, ন্যাশনাল ই-গভর্নেন্স ডিভিশন এবং ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সহযোগিতায় স্বচ্ছতা, দক্ষতার সঙ্গে সুশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে এআই-এর উপর একটি কর্মশালাও সম্পন্ন করেছে। এই কর্মশালা প্রশাসনে এআইয়ের বিভিন্ন সম্ভাবনা তুলে ধরেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য বর্তমানে পেপারলেস (কাগজবিহীন) প্রশাসন বাস্তবায়ন করেছে। এতে ফাইলগুলির প্রক্রিয়া ৯ দিন থেকে কমে ৩ দিনে করা সম্ভব হয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় সময় হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে এবং প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় করা যাচ্ছে। এই ডিজিটাল রূপান্তর আমাদের প্রশাসনে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করেছে। সামনের দিশায় এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমরা ডিজিটাল ইন্টারফেসের মাধ্যমে জন পরিষেবা সহজ করার জন্য সিঙ্গেল-উইন্ডো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু এবং দপ্তর নির্দিষ্ট এআই পাইলট প্রজেক্ট চালু করা সহ সমস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও সমৃদ্ধি ঘটানোর লক্ষ্যে এআই এবং ফাইভ জি সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি।
