August 2, 2025

ঋণ পেতে হুইলচেয়ারে বসিয়ে শবকে দিয়ে ‘সই’!!

 ঋণ পেতে হুইলচেয়ারে বসিয়ে শবকে দিয়ে ‘সই’!!

অনলাইন প্রতিনিধি :- হুইলচেয়ারে বৃদ্ধের মৃতদেহ বসিয়ে ব্যাঙ্কে ঋণ নিতে গেলেন এক মহিলা। লাশকে দিয়েই লোনের ফর্মে সই করানোর চেষ্টাও করলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
শেষপর্যন্ত পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থল ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেইরো। স্থানীয় প্রায় প্রতিটি সংবাদমাধ্যমেই এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিটি সংবাদপত্রেই গোটা ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ সবিস্তারে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কাজটি প্রায় হাসিলই করে ফেলেছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু নিজের সামান্য ভুলেই ধরা পড়ে গেলেন। ওই ঘটনার একটি ভিডিয়োও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, একজন মহিলা ঋণ নেওয়ার অভিপ্রায় হুইলচেয়ারে মৃত ব্যক্তিকে (বয়স ৬৮ বছর) বসিয়ে নিয়ে ব্যাঙ্কে পৌঁছেছেন। দেখা যায়, মহিলাটি মৃত ব্যক্তির হাতে একটি পেন রাখেন এবং সেই মৃতদেহের হাত দিয়ে স্বাক্ষর করানোর চেষ্টা করান। ধৃত • মহিলার নাম এরিকা ডি সুজা ভিয়েরা। তিনি হুইলচেয়ারে বসিয়ে মৃতকে নিয়ে এম গেছিলেন রিও ডি জেনেইরোতে ইটাউ ব্যাঙ্কের শাখায়। মৃতকে দিয়ে সই করিয়ে এরিকা ১৭০০০ ব্রাজিলীয় রেইস (৩,২৫০ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা) ঋণের জন্য অনুরোধ করেন। তখনই ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা লক্ষ্য এই করেন যে হুইলচেয়ারে যিনি বসে আছেন, তার শরীরে কোনও সাড় নেই। কর্মীরা এর এরিকাকে জিজ্ঞাসা করেন, হুইলচেয়ারে বসে যিনি স্বাক্ষর করলেন তিনি তার কে হন? এরিকা জানান, নিকটাত্মীয়। ব্যাঙ্কের তরফেই তৎক্ষণাৎ পুলিশে ফোন করা হয়। মহিলা ফাঁক গলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এদিকে ব্যাঙ্কের এক কর্মচারী নিজের মোবাইলে গোটা কাণ্ডের ভিডিয়োগ্রাফি করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
ব্রাজিল পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম পাওলো রবার্তো ব্রাগা। মৃত না অবস্থাতেই তাকে ব্যাঙ্কে নিয়ে এসেছিলেন এরিকা। অথচ, ব্যাঙ্কে এসে এরিকা মৃত ব্যক্তির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে কথাও বলছিলেন! ধৃত এরিকার বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং একজন মৃত ব্যক্তিকে নির্যাতন করার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ব্রাজিল পুলিশের কর্তা ফ্যাবিও লুইজ সুজাকে উদ্ধৃত করে গার্ডিয়ান লিখেছে, ময়না তদন্তে জানা গেছে, হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিয়ে আসার দুই ঘণ্টা আগে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছিল। ফ্যাবিও লুইজ বলেছেন, ‘আমি আমার বাইশ বছরের কর্মজীবনে এমন ঘটনা দেখিনি, শুনিওনি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *