রঞ্জিতবাবু জেনেভা গিয়েছিলেন,কোন দেশের পাসপোর্টে? জানতে চায় ত্রিপুরাবাসী!!
আস্তাবলের সমাবেশে একমঞ্চে আসছেন পূর্বোত্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-উত্তর-পূর্ব ভারতের শীর্ষস্থানীয় জনজাতি নেতৃত্ব একই মঞ্চে আসছেন। এরই প্রাথমিক মহড়া আগামী সাত নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার আস্তাবল মাঠে। সোমবার এমনই ঘোষণা দিয়েছেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। তিনি বলেন আর্থ সামাজিক অধিকার আদায়ের জন্যে নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মিজোরাম, সিকিম থেকে জনজাতি নেতৃত্ব রাজ্যে আসছেন। নর্থ ইস্টের সব জনজাতি রাজনৈতিক দল মিলে একটি রাজনৈতিক মঞ্চ গঠিত হবে। নর্থ ইস্টের একতা দেখতে পারবেন ভারতবাসী। তিপ্রা মথার মেগা যোগদান শিবির করা হয় রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। এদিনের শিবিরে মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ, বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা সহ দলের সব অন্যান্য মন্ত্রী, এমএলএ, এমডিসিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে শুধুমাত্র অনুপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অমিত শাহর ভূয়শি প্রশংসা করে বলেন, আমাদের ত্রিপাক্ষিক চুক্তি ভারত সরকারের সাথে হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিওি আমাদের সাথে একমত। তিপ্রামথা নয়াদিল্লীর প্রতিশ্রুতিতে ত্রিপুরাতে বিজেপির শরিক হয়েছে। এক্ষেত্রে ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের কোনো ভূমিকা নেই। গুজব ছড়িয়ে কোনো লাভ হবে না। আমাদের কথা নয়াদিল্লীতে হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, রাজ্যের জনজাতিদের আর বোকা বানানো যাবে না। চাপের রাজনীতি বন্ধ না করলে আপনাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকবে না। আমাদের অপমান করে এরপর পাঁচটাকা দেবেন। এসব নোংরা রাজনীতি এখন বন্ধ করতে হবে। সব ধরা পড়ে গিয়েছে। নয়াদিল্লীর হুমকি আমাদের দিলে উল্টো আপনারা বিপদে পড়বেন। নয়াদিল্লীর কাছে রাজ্যের একাংশ শাসক দলের নেতাদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে গিয়েছে। প্রত্যেকদিন যোগদান শিবিরের নামে মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না। শাসকের যদি সাহস থাকে আগামী সাতদিনের মধ্যে ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন এবং ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (এডিসি)র নির্বাচন রাজ্যে করা হোক। দেখবেন ফলাফলে আপনাদের ঢাকিসহ বিসর্জন হবে। আপনাদের নিট ফল হবে শূন্য। তিনি শাসকদলকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন বন্দুক, প্রশাসন দিয়ে আমাদের রুখতে পারবেন না। ২০২৬ সালে রাজ্যে এসআইআর, ডিলিমিটেশন হবে। তার দাবি রাজ্যের দু-তিনজন বিজেপি নেতা ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনে বাধা দিচ্ছেন। এই নেতাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট নয়াদিল্লীতে করা হয়েছে। অবিলম্বে তারা শাস্তি পাবেন। প্রত্যোত কিশোর দেববর্মণের অভিযোগ রাজ্যে পাহাড়ি বাঙালি ঐক্য সংহতি নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। দাঙ্গাবাজরা কমলপুরের শান্তিরবাজারের ঘটনার সাথে তিপ্রামথাকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যেসব নেতাদের উস্কানিতে এসব মিথ্যাচার হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও প্রমাণসহ রিপোর্ট নয়াদিল্লীতে পাঠানো হয়েছে। তার দাবি তিপ্রামথা বন্ধের রাজনীতি বিশ্বাস করে না। বন্ধ হলে পাহাড়ি, বাঙালি, গরিব-মধ্যবিত্ত শ্রমিক সকল অংশের মানুষের বিপাকে পড়তে হয়। তিনি বলেন, ধর্মের নামে যারা রাজনীতি করে তারা সাম্প্রদায়িক।
সবকা সাথ সবকা বিকাশ রাজ্যে হাসির খোরাকে পরিণত করে দিয়েছেন। এখন এরাই আমাদের সাম্প্রদায়িক বানানোর চেষ্টা করছে। রাজ্যবাসীর কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, যদি আপনাদের তিপ্রামথার সমর্থনের প্রয়োজন না হয় আমাদের সরাসরি বলতে পারেন। যদিও এই সাহস আপনাদের নেই।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য আমাদের লড়াই। রাজনীতি ভুলে সকলকে একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে পথে নামার আহ্বান জানান তিনি। হিন্দু-মুসলিম-পাহাড়ি-বাঙালি সহ রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি ঐক্য রক্ষায় তার সাথে দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের পথে নামার বার্তা দেন তিনি। এদিনের যোগদান শিবিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে সাতশজন মহিলা ভোটার সহ প্রাক্তন আইএএস অফিসার সিকে জমাতিয়া মথায় শামিল হন।