December 13, 2025

আলু ও পেঁয়াজ চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার: কৃষিমন্ত্রী!!

 আলু ও পেঁয়াজ চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার: কৃষিমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকার আলু চাষে এতটাই গুরুত্ব দিয়েছে যে আগামী ২০৩০ সালে রাজ্যের মানুষের চাহিদার জন্য আলু বাইরে থেকে আমদানি হবে না।আলু পেঁয়াজ সহ কৃষিতে উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করে ভারতবর্ষকে বিশ্বের শস্যভান্ডার করতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার মোহনপুর কৃষি দপ্তর প্রাঙ্গনে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র ধলাই ও রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে কৃষকদের মধ্যে আলুর বীজ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বললেন কৃষি ও কৃষি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ।
অনুষ্ঠান মঞ্চে অতিথিদের সাথে প্রবীন কৃষক অনিল দেবনাথকে পাশে বসিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা হল ভারত আত্মা ও অন্নদাতা। তাদের উন্নতি না হলে দেশের উন্নয়ন যন্ত্র বিকল হয়ে যাবে। রাজ্য সরকার আলু এবং পেঁয়াজ চাষে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। অল্প সময়ে এআরসি পদ্ধতিতে অধিক আলু ফলনের জন্য খুফ্রি হিমালিনি আলু বীজ এদিন ৪০০ জন কৃষককে ৫০ কেজি করে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকার শুধু আলুর বীজ দিয়েই থেমে থাকছে না। কৃষকদের উৎপাদনের ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা দূর করতে তাদের থেকে পরবর্তী সময়ে অন্য কৃষকদের আলুর বীজ দিতে সরকার কৃষকের উৎপাদিত আলু ক্রয় করবে। এই উন্নত আলু বীজের প্রজাতিটি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আনা হয়েছিল। আগামী দিনে সেখান থেকে যাতে না আনতে হয় সেই কাজ করছে সরকার। আলু চাষের গুরুত্বের বিষয় বুঝাতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কাজের লোকের সমস্যার কথা চিন্তা করে উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকারের তরফে চাষের যন্ত্রপাতিও দেওয়া হচ্ছে। একটি তথ্য দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সারা রাজ্যে আলু চাষ করে ২৩৭০০ জন কৃষক ৪২০০০ কানিতে। রাজ্যে আলুর চাহিদা রয়েছে ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার কেজি বছরে। উৎপাদন হয় ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার কেজি। চাহিদার বাকি অংশ পূরণ করতে রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যে পেঁয়াজ চাষ হবে না বলে একটা ধারণা ছিল। রাজ্যের কৃষি কলেজের গবেষণারত বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দিয়েছে রাজ্যের মাটিতে লাল এবং সাদা পেঁয়াজ উৎপাদন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর পুরো পরিষদের চেয়ারপার্সন অনিতা দেবনাথ, ভাইস চেয়ারপার্সন শঙ্কর দেব, মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন রাকেশ দেব, ভাইস চেয়ারপার্সন সঞ্জীব কুমার দাস, অল ত্রিপুরা ফার্মাস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট প্রদীপ বরণ রায়, কেভিকে ধলাই এর ড. অভিজিৎ দেবনাথ এবং মোহনপুর কৃষি দপ্তরের এসএ সৌমিত্র দেব সহ অন্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *