আপত্তিকর কনটেন্ট’ বানাতে বাক্স্বাধীনতার দোহাই দিতে পারবেন না নেটপ্রভাবীরা!!
আপত্তিকর কনটেন্ট’ বানাতে বাক্স্বাধীনতার দোহাই দিতে পারবেন না নেটপ্রভাবীরা!!

‘
অনলাইন প্রতিনিধি :-দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবীরা (ইনফ্লুয়েন্সার) আর বাক্স্বাধীনতাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে আপত্তিকর বা বিতর্কিত কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ মন্তব্য করেছে— প্রভাবীরা তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে আয় করেন। ফলে কোনও বক্তব্য যদি ‘বাণিজ্যিক’ বা ‘নিষিদ্ধ’ শ্রেণির মধ্যে পড়ে, তবে তার ক্ষেত্রে সংবিধানের অধীনে বাক্স্বাধীনতার সুরক্ষা প্রযোজ্য হবে না।
সম্প্রতি প্রভাবী রণবীর ইলাহাবাদিয়া এবং আরও পাঁচজন— সময় রায়না, বিপুল গয়াল, বলরাজ পরমজিৎ সিংহ ঘাই, সোনালি ঠাকুর ও নিশান্ত জগদীশ তনওয়ার— বিশেষ ভাবে সক্ষমদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এর জেরে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। যদিও পাঁচজন ইতিমধ্যে আদালতে ক্ষমা চেয়েছেন, তবুও তাঁদের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সমাজে অন্তর্ভুক্তি এবং সচেতনতা বাড়াতে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরমণী আদালতে জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক-সহ একাধিক সংস্থার সঙ্গে অনলাইনে বক্তব্যের জন্য গাইডলাইন তৈরির বিষয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিষয়টি বাক্স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত থাকায় অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে দেখা হচ্ছে।
আদালতের বক্তব্য, তরুণ প্রজন্ম যাতে নিয়ম এড়িয়ে যেতে না পারে, তার জন্য কার্যকরী গাইডলাইন তৈরি করা জরুরি। সীমা লঙ্ঘনের ফলে যতটা ক্ষতি হয়, তার সমান মাত্রায় শাস্তিও হওয়া উচিত। নাহলে প্রভাবীরা ভাববেন, কেবল ক্ষমা চাইলেই দায়মুক্তি মেলে যাবে।
শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, নেটপ্রভাবীরা যতখানি সীমালঙ্ঘন করেছেন, তাঁদের অনুতাপও ততটাই গভীর হতে হবে। তার পরেই জরিমানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।