শক্তি সংরক্ষণে ফের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত হলো ত্রিপুরা!!
আঠাশের আগেই সরকার পড়ে যাবে রাজ্যে: জিতেন!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-গুন্ডা লেলিয়ে – হুমকি দিয়ে – প্রশাসন কাজে লাগিয়েও আঠাশে সিপিএমকে রোখা যাবে না। শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল-কাজিয়া এমন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে, ২৮ শের আগেই জনবিরোধী সরকার পড়ে যেতে পারে। রাস্তায় নামুন। তৈরি থাকুন। দলের নেতা কর্মীদের এমনই বার্তা দিলেন জিতেন চৌধুরী।
তার দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে টেনে নামানোর চেষ্টায়ও ব্যস্ত শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। শাসকদল বিজেপি-মথা-আইপিএফটি জোট সরকারের পাপের ফল ভোগ করছেন রাজ্যবাসী।
শনিবার আগরতলায় টাউন হলে গণতান্ত্রিক নারী সমিতির ২১তম রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রকাশ্য সমাবেশে ঠিক এভাবেই জোট সরকারকে বিঁধলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী। তিনি বলেন, নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আস্তাবল মাঠ চাওয়া হয়েছিল, দেওয়া হয়নি। পরে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন চত্বরে প্রকাশ্য সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, পুলিশ দেয়নি, বলেছে বিজেপির সমাবেশ আছে। পরে সেই সমাবেশ জনজাতি সমাবেশ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়।
জিতেনবাবুর দাবি বামেদের সভার অনুমতি না নিয়ে বলপূর্বক রবীন্দ্রভবনের সামনে যে সমাবেশ ডাকা হয়েছে তা বয়কট করেছেন জনজাতি অংশের মানুষ। সমাবেশে মানুষের উপস্থিতিতে তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। জনজাতি মানুষের কাছে বিজেপির মিথ্যাচার ধরা পড়ে গিয়েছে।বিজেপি জনজাতি জনসমাজকে আর ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমাদের সভার জন্যে পুলিশ বিকল্প জায়গা করার কথা বলেছিল, নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্যারাডাইস চৌমুহনীতে করার কথা বলা হয়। কিন্তু সমাবেশের বারো ঘণ্টা আগে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্যারাডাইস চৌমুহনীতে হবে না। জিতেন চৌধুরী বলেন, ‘বিরোধী পক্ষ কোনো সভা করতে পারবে না বলে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে জানি না, আবার ভয় দেখিয়ে, গাড়ি বন্ধ করে সভাতো আটকাতে পারলেন না। এভাবেই জবাব দেওয়া হবে।বিরোধী দলনেতা বলেন, শাসক জোটের নেতা মন্ত্রীরা নিজেদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে রাজপথে প্রকাশ্য সমাবেশে কাজিয়া করছে। তাদের অন্তঃকোন্দল প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। প্রলোভনের টোপ ফেলে ক্ষমতা দখল করে এখন মানুষের কথা ভুলে গিয়েছে। সারা রাজ্যে বড়লোক হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। নিগো বাণিজ্য, গাঁজা চাষ, নেশা বাণিজ্য, লুটপাট, বাঁকা পথে অর্থ আদায় ঘিরে প্রকাশ্যে গোলাগুলী পর্যন্ত হচ্ছে। সারা রাজ্যে গুন্ডারাজ কায়েম করেছে শাসক দল।
তিনি বলেন, রাজ্যের বিজেপি জোট সরকারের প্রচার ত্রিপুরায় উপজাতিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ বাস্তব হলো, এডিসি এলাকার মানুষের এখন পরিবার পালনের পর্যন্ত ক্ষমতা নেই। পাহাড়ে বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল নেই, রাস্তা নেই। স্কুল আছে শিক্ষক নেই, কলেজ আছে শিক্ষক নেই, কৃষিকাজের আর্থিক সামর্থ নেই, জুমিয়া পরিবারগুলি মরতে বসেছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওষুধ-চিকিৎসা নেই, এটাই হলো পাহাড়ের বাস্তব হাল। অনাহার ও অর্ধাহারে সন্তান বিক্রি করতে পর্যন্ত বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাহাড়ের হাজার হাজার শিক্ষিত যুবক যুবতী রাজপথে ঘুরছেন, চাকরি নেই। প্রত্যেকদিন হাজার যুবক-যুবতী বয়স উত্তীর্ণ বেকারে পরিণত হচ্ছেন, আর শাসকদল ব্যস্ত হামলা-পাল্টা হামলা-গুন্ডাগিরিতে।
জিতেনবাবুর অভিযোগ বিজ্ঞাপনে সরকার চলছে। রাজধানীর রাজপথ থেকে শুরু করে গ্রাম পাহাড়ের অলিগলিতে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন। মানুষের অর্থে সারা রাজ্যে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ক্ষুধা ঢাকার চেষ্টায় ব্যস্ত বিজেপি সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর জ্ঞাতসারেই হচ্ছে- অভিযোগ এনে জিতেন চৌধুরী বলেন, বিজেপি-আরএসএস এবং তাদের সহযোগীদের দ্বারা রাজ্যে নারী লাঞ্ছনার জবাব হচ্ছে আজকের সমাবেশ। প্রশাসনের অকর্মণ্যতার জন্য রাজ্যটি নেশার সাগরে ভাসছে।ট্রেনের ওয়াগন ভর্তি করে নেশাসামগ্রী আসছে, ধরার লোক নেই। রাস্তা থেকে পানীয় জল, সমস্ত বিষয়ে লুট চলছে। ব্যাপকহারে রাজ্যের চাকরি চলে যাচ্ছে বহি:রাজ্যে। যুব সমাজকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে নেশার সাগরে, অবৈধপথে রোজগারের দিকে।
জিতেন চৌধুরীর অভিযোগ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ। আক্রান্তদের অভিযোগ থানায় লিপিবদ্ধ হচ্ছে না। একনায়ক গুন্ডারাজ কায়েম হয়েছে। অভিযুক্তদের সরকারপন্থী নেতামন্ত্রীদের ছবি দেখে পুলিশঘাবরে গিয়ে গুন্ডাদের গ্রেপ্তার করছেন না। বিজেপির হামলায় কৃষক, শ্রমিক, বেকার, জুমিয়া, শিক্ষক-কর্মচারী সকলেই আক্রান্ত।তার অভিযোগ তিপা মথা-বিজেপি এডিসি-ভিলেজ কমিটি দখলের জন্যে বিজেপি জনজাতি জনসমাজকে আর ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। তিনি বলেন, আমাদের সভার জন্যে পুলিশ বিকল্প জায়গা করার কথা বলেছিল, নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্যারাডাইস চৌমুহনীতে করার কথা বলা হয়। কিন্তু সমাবেশের বারো ঘণ্টা আগে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্যারাডাইস চৌমুহনীতে হবে না। জিতেন চৌধুরী বলেন, ‘বিরোধী পক্ষ কোনো সভা করতে পারবে না বলে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে জানি না, আবার ভয় দেখিয়ে, গাড়ি বন্ধ করে সভাতো আটকাতে পারলেন না। এভাবেই জবাব দেওয়া হবে।বিরোধী দলনেতা বলেন, শাসক জোটের নেতা মন্ত্রীরা নিজেদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে রাজপথে প্রকাশ্য সমাবেশে কাজিয়া করছে। তাদের অন্তঃকোন্দল প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। প্রলোভনের টোপ ফেলে ক্ষমতা দখল করে এখন মানুষের কথা ভুলে গিয়েছে। সারা রাজ্যে বড়লোক হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। নিগো বাণিজ্য, গাঁজা চাষ, নেশা বাণিজ্য, লুটপাট, বাঁকা পথে অর্থ আদায় ঘিরে প্রকাশ্যে গোলাগুলী পর্যন্ত হচ্ছে। সারা রাজ্যে গুন্ডারাজ কায়েম করেছে শাসক দল।তিনি বলেন, রাজ্যের বিজেপি জোট সরকারের প্রচার ত্রিপুরায় উপজাতিদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ বাস্তব হলো, এডিসি এলাকার মানুষের এখন পরিবার পালনের পর্যন্ত ক্ষমতা নেই। পাহাড়ে বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল নেই, রাস্তা নেই। স্কুল আছে শিক্ষক নেই, কলেজ আছে শিক্ষক নেই, কৃষিকাজের আর্থিক সামর্থ নেই, জুমিয়া পরিবারগুলি মরতে বসেছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ওষুধ-চিকিৎসা নেই, এটাই হলো পাহাড়ের বাস্তব হাল। অনাহার ও অর্ধাহারে সন্তান বিক্রি করতে পর্যন্ত বাধ্য হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। পাহাড়ের হাজার হাজার শিক্ষিত যুবক যুবতী রাজপথে ঘুরছেন, চাকরি নেই। প্রত্যেকদিন হাজার যুবক-যুবতী বয়স উত্তীর্ণ বেকারে পরিণত হচ্ছেন, আর শাসকদল ব্যস্ত হামলা-পাল্টা হামলা-গুন্ডাগিরিতে।
জিতেনবাবুর অভিযোগ বিজ্ঞাপনে সরকার চলছে। রাজধানীর রাজপথ থেকে শুরু করে গ্রাম পাহাড়ের অলিগলিতে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন। মানুষের অর্থে সারা রাজ্যে বিজ্ঞাপন লাগিয়ে ক্ষুধা ঢাকার চেষ্টায় ব্যস্ত বিজেপি সরকার।মুখ্যমন্ত্রীর জ্ঞাতসারেই হচ্ছে- অভিযোগ এনে জিতেন চৌধুরী বলেন, বিজেপি-আরএসএস এবং তাদের সহযোগীদের দ্বারা রাজ্যে নারী লাঞ্ছনার জবাব হচ্ছে আজকের সমাবেশ। প্রশাসনের অকর্মণ্যতার জন্য রাজ্যটি নেশার সাগরে ভাসছে।ট্রেনের ওয়াগন ভর্তি করে নেশাসামগ্রী আসছে, ধরার লোক নেই। রাস্তা থেকে পানীয় জল, সমস্ত বিষয়ে লুট চলছে। ব্যাপকহারে রাজ্যের চাকরি চলে যাচ্ছে বহি:রাজ্যে। যুব সমাজকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে নেশার সাগরে, অবৈধপথে রোজগারের দিকে।
জিতেন চৌধুরীর অভিযোগ সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ। আক্রান্তদের অভিযোগ থানায় লিপিবদ্ধ হচ্ছে না। একনায়ক গুন্ডারাজ কায়েম হয়েছে। অভিযুক্তদের সরকারপন্থী নেতামন্ত্রীদের ছবি দেখে পুলিশঘাবরে গিয়ে গুন্ডাদের গ্রেপ্তার করছেন না। বিজেপির হামলায় কৃষক, শ্রমিক, বেকার, জুমিয়া, শিক্ষক-কর্মচারী সকলেই আক্রান্ত।
তার অভিযোগ তিপা মথা-বিজেপি এডিসি-ভিলেজ কমিটি দখলের জন্যে একে অপরে বিরুদ্ধে নাটক করছে। যা রাজ্যবাসী ধরে ফেলেছেন। একদল . সমতলের লুটের অন্যটি পাহাড়ে লুটের বাণিজ্য চালাচ্ছে। মানুষ বিপন্ন। এর বিরুদ্ধে তিনি সকলকে পথে নামার আহ্বান জানান।
নারী সমিতির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা মরিয়ম ধাওয়ালে বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় মানে মা-বোন-মহিলাদের নিরাপত্তা থাকবে না। এটাই স্বাভাবিক। ত্রিপুরার নারীরা আজ জমায়েত করে এর জবাব দিয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে সব মানুষের অবস্থান, তা সত্ত্বেও বিজেপি ভোেট জিতছে। তার অভিযোগ নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকছে বিজেপি।
তার দাবি বেকারত্ব, পণ্যমূল্য, শিক্ষা, আইনশৃঙ্খলা, সমস্ত বিষয়ে ব্যর্থ এই সরকারকে হটাতে মা বোনেরা পথে নেমে গিয়েছেন।
ভোটাররা বলছে ওদের আমরা ভোট দিইনি, তারপরও ওরা জিতছে। যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তি হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মেয়েদের মতো উপজাতিদের কোণঠাসা করা হচ্ছে। সভায় নারী সমিতির রাজ সম্পাদক স্বপ্না ‘দত্ত ও সভানেত্রী রমণী দেববর্মা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।