August 4, 2025

আজ মৈত্রী সেতুর উপর হবে ৭৫ গ্রামের উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা।

 আজ মৈত্রী সেতুর উপর হবে ৭৫ গ্রামের উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনা।

অনলাইন প্রতিনিধি :- ফেনী নদীর উপর নির্মিত ভারত – বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর উপর ভর করে উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লুক ইস্ট পলিসির সার্বিক রূপায়ণে নতুন দিশাকে নতুন গতি দিতে মুখ্যমন্ত্রী নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে। সাব্রুমের মৈত্রী সেতু রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের মাইলস্টোন হিসাবে পরিগণিত হতে পারে আগামীদিন নতুন প্রজন্মের কাছে। মুখ্যমন্ত্রী ১৪ জুলাই সাক্ৰম আসছেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর রাজ্যের ৭৫টি গ্রামকে চিহ্নিত করে উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়ার সরকারী প্রকল্পের সূচনা করা হবে মৈত্রী সেতুর উপর দাঁড়িয়ে। আশা করা যায় রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মৈত্রী সেতুকে ঘিরে উন্নয়নের সার্বিক বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী চর্চা করবেন। জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মৈত্রী সেতু ঘিরে উন্নয়নের যে রুট ম্যাপ আঁকা রয়েছে তা রূপায়ণে মহাকরণে একটি বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। মৈত্রী সেতুকে ঘিরে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী নজরে রেখেছেন। হাজার কোটি টাকার ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট তৈরির কাজ চলছে। অত্যাধুনিক এই ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট থাকছে আন্তর্জাতিক মানের বাস টার্মিনাল। সাব্রুম থেকে চট্টগ্রাম সামুদ্রিক বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৭৫ কিলোমিটার। হাতের কাছে রয়েছে এশিয়ার অন্যতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। মৈত্রী সেতু চালু হয়ে গেলে পর্যটন শিল্পের সোনালী দ্বার খুলে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন পর্যটন শিল্পের নতুন ঠিকানা হতে চলছে এই মৈত্রী সেতু। মৈত্রী সেতুর উপর দিয়ে পর্যটকরা ছুটবে কক্সবাজারের দিকে। দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এই রাস্তা ধরে ভ্রমণের নতুন ঠিকানা খুঁজে পাবেন। সাব্রুম থেকে আগরতলা জাতীয় সড়ক, জাতীয় মানের পর্যায়ে রয়েছে। প্রশস্ত, মসৃণ জাতীয় সড়ক উন্নয়নের নতুন পরিকাঠামো। সঙ্গে রয়েছে রেলের সুবিধা। মৈত্রী সেতুর নাগালের মধ্যে রয়েছে সাব্রুম রেলস্টেশন। সাব্রুম রেলস্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক মানের গুডস ইয়ার্ড। মাল ওঠানামার উন্নততর পরিকাঠামো। মৈত্রী সেতুর কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে নিয়েছে। দু দিকের ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট-এর কাজ শেষ হলেই চলে আসবে মহেন্দ্রক্ষণ। ২০২৪ মার্চের আগেই এই মৈত্রী সেতু খুলে যেতে পারে আন্তর্জাতিক পণ্য বাণিজ্যের নতুন দ্বার। তবে এর আগেই মৈত্রী সেতুর উপর দিয়ে লোকজন আসা-যাওয়ার সুযোগ খুলে যাবে। সাব্রুমে আরও একটি বড় প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।স্পেশাল ইকোনমিক জোন।জমি চিহ্নিতকরণ ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে কথা বার্তা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবার পর একাধিকবার মৈত্রীতে এসেছেন। আগামী ১৪ জুলাই স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এক অনুষ্ঠানে এখানে আসছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *