November 18, 2025

আগরতলা-উদয়পুর রুটে দুর্ভোগ চরমে,গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে লাটে যাত্রী পরিষেবা!!

 আগরতলা-উদয়পুর রুটে দুর্ভোগ চরমে,গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে লাটে যাত্রী পরিষেবা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আরও একবার প্রকাশ্যে এলো দুই গোষ্ঠীর কোন্দল। এবার অবশ্য সরাসরি রাজনৈতিক ইস্যুতে নয়, তবে প্রকারান্তরে এটিই এখন যেনো শূল হয়ে উঠেছে সাধারণ নাগরিক কিংবা যাত্রী সাধারণের কাছে। গত দু’দিনে উদয়পুর-আগরতলা, আগরতলা-উদয়পুরগামী যাত্রীদের যেভাবে নাজেহালের শিকার হতে হয়েছে তাতে শাসক দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি আর অস্পষ্ট থাকলো না কারও কাছেই।মুখে-মুখেই উঠে এসেছে সরকারের বে-আব্রু ছবির কথা। দুই দাবি করেছে। গত রবিবারের পর সোমবারও একই হাল দেখা গিয়েছে নাগেরজলা সহ উদয়পুরের রাজারবাগ বাস স্ট্যাণ্ডে। একদিকে আগরতলা থেকে উদয়পুরের যে সব বাস (মালিকানা) রাজারবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দেবার কথা, সকাল থেকেই আটকে দেওয়া হয় তাদের। পাল্টা হিসেবে রাজারবাগ বাস স্ট্যান্ড থেকেও আগরতলার (মালিকানা) যেসব বাস নাগেরজলার উদ্দেশ্যে রওনা দেবার কথা তাদেরকে দিনভর বসিয়ে রাখা হয় সেখানে। আরও অভিযোগ, দুটি ক্ষেত্রেই বাস-জীপ চালক সংঘ কিংবা সংশ্লিষ্ট পরিষেবার সাথে জড়িত অন্যান্য সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদাধিকারীরা শাসক বিজেপির দোহাই দিয়ে একপ্রকার মর্জিমাফিক পরিষেবা দিচ্ছে যাত্রীদের। এও অভিযোগ রয়েছে যে আগরতলা-উদয়পুর বাদেও দক্ষিণ ত্রিপুরাগামী অন্যান্য দূরপাল্লার গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের নেমে যেতে পর্যন্ত বাধ্য করা হয়েছে। এই অবস্থায় সোমবার একদিকে যেমন রাজধানী আগরতলা থেকে উদয়পুর কিহ্ববা দক্ষিণ ত্রিপুরার অন্যান্য দূরপাল্লার গাড়িতে চেপেও সমস্যা পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের, একই হাল হয়েছে উদয়পুর থেকে আগরতলা আসার ক্ষেত্রেও। জানা গিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভীষণভাবে বেকায়দায় পড়েছেন চাকরিজীবীরা। অনেকেই ঘরমুখো হতে পর্যন্ত বাধ্য হয়েছেন শেষমেষ। ত্রিপুরা বাস-জীব চালক সংঘ’র পক্ষ থেকে সভাপতি রতন দেবনাথ জানান, রাজারবাগে রাজু মজুমদার নামে রাষ্ট্রবাদী এক নেতা রবিবারের ন্যায় যাত্রী পরিষেবায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে সোমবারও। সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে তিনি নাকি আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বলেও জানান। *উদয়পুর-আগরতলা রুটে বাস পরিষেবার সাথে যুক্ত উদয়পুরের বেশ ক’জন বাস মালিক জানান, নাগেরজলার পুরনো কমিটি ভেঙে বেআইনিভাবে নতুন করে একটি কমিটি গড়েছেন জনাকয়েক মাতব্বর। আগরতলা থেকে উদয়পুর যাবার পথে তারা তাদের নিজ-নিজ গাড়িগুলির ক্ষেত্রে অধিক সময় দাড় করিয়ে যাত্রী পরিবহণের সুযোগ করে দেয়।
এক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করিয়েও নামমাত্র মিনিট পাঁচেকের সুযোগ দেওয়া হয় তাদের ক্ষেত্রে। লোকসানের শিকার মালিকরা একাধিকবার নাগেরজলায় সংশ্লিষ্ট সংগঠন নেতাদের গোচরে বিষয়টি আনলেও সুরাহা করা হয়নি। তারা জানান, তাদের মালিকানাধীন উদয়পুর-আগরতলা রুটের অন্তত ৩০টি বাস মঙ্গলবার থেকেই যতোক্ষণ না পর্যন্ত গোটা বিষয়টির সমধান হচ্ছে ততোক্ষণ পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবা থেকে বিরত থাকবে।
সিন্ডিকেটের অন্য আরও এক নেতা বলেন, রাজু মজুমদার সহ বিমল দেব এবং অন্য আরও দু’একটি বাসের পরিষেবা নিয়েই যতো সমস্যা। এদের কোনওটি ঘোরাকাপ্পা টু নাগেরজলা, কোনওটি আবার উদয়পুর টু খোয়াই-কমলপুর ভায়া আগরতলার পারমিট রয়েছে। অথচ রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে আগরতলা-উদয়পুর রুটেই চালু রাখা হয়েছে তাদের গাড়িগুলি। আপত্তি জানালেও কর্ণপাত করছে না তারা। তার কথায়, রবিবার আগরতলা থেকে রাজারবাগের উদ্দেশ্যে দশটি বাস গেলেও চারটি গাড়িকে যাতায়াতের সুযোগই দেওয়া হয়নি। এরপরই নাগেরজলা থেকেও পাল্টা হিসেবে একই পথ অবলম্বন করে তারা। যাত্রী সাধারণের অভিযোগ, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এখন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে আমাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *