September 5, 2025

আগরতলায় ৭৭, ধলাইয়ে ৩৬ ভাগ গ্রাহক মাশুল দেনঃ বিদ্যুৎমন্ত্রী!!

 আগরতলায় ৭৭, ধলাইয়ে ৩৬ ভাগ গ্রাহক মাশুল দেনঃ বিদ্যুৎমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-কমলপুর থেকে গণ্ডাছড়া, মাঝখানে মনু কিংবা গোবিন্দবাড়ি – ধলাই জেলায় গড়ে চব্বিশ থেকে ছত্রিশ শতাংশ বিদ্যুৎ গ্রাহক বিদ্যুতের মাশুল পরিশোধ করে থাকেন। এই তথ্য জানিয়েছেন বিদ্যুৎ এবং কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। মন্ত্রী মনুতে ১৩২ কেভি পাওয়ার স্টেশনের উদ্বোধন করেন এদিন। দুই বিধায়ক পল দাংশু এবং শম্ভুলাল চাকমাকে পাশে রেখে নারিকেল ভেঙে, ফিতা কেটে সাব স্টেশনের উদ্বোধনের পর মনুবাজারে অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত ৪৪,৯৮,০০,০০০ টাকা ব্যয়ে এই সাব স্টেশন চালু হওয়ায় পনেরোটি জনপদের বিদ্যুৎ চপলতা এবার বন্ধ হবে এমন আশা করা হচ্ছে।সরকারী হিসাবে মনু, ধুমাছড়া, মাছলি, এসকেপাড়া, বিরাশিমাইল, ছৈলেংটা, নেপালটিলা, ডেমছড়া, ময়নামা, লালছড়া, মানিকপুর, ছামনু, ভাঙামুড়া, থালছড়া, বাকছড়া এই জনপদগুলিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের গ্রাহক রয়েছে ২১,৫৫৪
জন। মন্ত্রী এদিন তথ্য দিয়েছেন, আগরতলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাহাত্তর থেকে সাতাত্তর দশমিক চল্লিশ শতাংশ বিদ্যুৎ গ্রাহক প্রতিমাসে তাদের বিদ্যুৎ বিল জমা করছেন। চব্বিশ থেকে ছত্রিশ শতাংশ বিদ্যুৎ বিল জমা দিচ্ছেন ধলাই জেলার বিভিন্ন অংশের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। এভাবে যদি গ্রাহকরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সময়মতো বিদ্যুৎ বিল সঠিকভাবে পরিশোধ না করেন তাহলে রাজ্য সরকার বা মন্ত্রী হিসাবে আমার কি করার রয়েছে। সেখানেই আমাদের রাজ্য সরকারের প্রশ্ন, দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদিজি আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য বিনা পয়সায় নানা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। আমরা চাই রাজ্যের প্রত্যেকটি বাড়িতে পিএম সূর্যঘর নামে সোলার প্যানেল লাগানো হোক। তাতে আপনি যেমন বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ পাবেন তেমনি আপনার সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সরকার কিনে নিয়ে যাবে। উল্টো আপনাকে টাকা দেওয়া হবে। এই সুবর্ণ সুযোগটি আপনারা কেন গ্রহণ করছেন না? মন্ত্রী বলেন, দুর্গাপুজোর সময় আমাদের রাজ্যে বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি হবে না। তার জন্য অগ্রিম বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ অপচয় বা বিদ্যুৎ চুরি রুখতে ইতিমধ্যে ড্রোনের ব্যবহার আমরা শুরু করে দিয়েছি। অসাধু ব্যবসায়ী বা বিদ্যুৎ চোরের বিরুদ্ধে আমরা সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছি। ময়নামা এলাকায় জনৈক বিদ্যুৎ গ্রাহকের বাড়িতে বিদ্যুৎ কর্মী যখন লাইন কাটতে গিয়েছিল সেখানে সেই বিদ্যুৎ কর্মীকে পেটানো হয়েছে। এখানে আমরা বলতে চাই সেই সময় যদি বিদ্যুৎ কর্মীটি চলে আসতো এবং সেই পরিবাহী তারটি ছিড়ে পড়ে এলাকার কোনো মানুষের প্রাণ চলে যেত, তাহলে কি আপনারা আমাদের ছেড়ে কথা বলতেন?ছামনু এলাকায় আটাশ মেগাওয়াট জল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রজেক্ট নিয়ে ভাবনাচিন্তার কথা জানান তিনি।যে বিদ্যুৎ বহিঃরাজ্যে বিক্রি করে বহু অর্থ আয় হতে পারে বলেও জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *