August 3, 2025

অমরপুরে একাধিক সড়কের বেহাল অবস্থা,জনমনে ক্ষোভ

 অমরপুরে একাধিক সড়কের বেহাল অবস্থা,জনমনে ক্ষোভ

দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ অমরপুর।। অমরপুর ট্রাইজংসন থেকে দলুমাস্থিত পঞ্চম বাহিনী টিএসআর সদর কার্যালয় সংলগ্ন বেইলী ব্রীজ পর্যন্ত সাড় চার কিলোমিটার সড়কের খুবই বেহাল অবস্থা। ওই সাড়ে চার কিলোমিটার সড়কের প্রায় পুরোটাই খানা খন্দে একাকার হয়ে আছে। সড়কের উপর তৈরি হয়েছে বড়বড় গর্ত। সড়কের পাশে জল নিকাশি ড্রেইন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই গর্ত গুলিতে জল জমে ছোট ছোট নালার আকার ধারণ করে। যার ফলে অমরপুর- নুতন বাজার সড়কে যানবাহন চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠে। সড়কটির সাড়ে চার কিলোমিটার অংশের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে ওই সড়কে যাতায়াত করাই কষ্টসাধ্য।

আনন্দ ধারা প্রেক্ষাগৃহের সামনের বেশকিছু অংশের সড়ক, কাঠাল বাগান বাকের মুখের সড়কের অংশ, টাউন রাংকাংয়ের কালভার্ট সংলগ্ন সড়ক এলাকা, মালাবাসা মসজিদ সংলগ্ন আধা ফার্লং সড়ক এলাকা,মিঞা বাজার সংলগ্ন বেশকিছু অংশের সড়ক এলাকা, কালি মন্দীর সংলগ্ন সড়ক এলাকা, কাউয়ামার ঘাটের গোমতী নদীর উপরের পাকা সেতুর দুই দিকের সড়ক এলাকা, ডালাক বাজার থেকে শুরু করে ডালাক পাম্প হাউজ সংলগ্ন প্রায় দেড় ফার্লং সড়ক এলাকা,থালছড়া বাজারের উপরের পুরো সড়ক,গন্ডাছড়া নুতন বাজার যাতায়াতের তেমুহনি সড়ক এলাকা, বিএসএনএল টাওয়ার সংলগ্ন এলাকার সড়ক এবং সর্বোপরি পঞ্চম বাহিনী টিএসআর সদর কার্যালয় সংলগ্ন বেইলী ব্রীজের দুই পাশের সড়ক সহ উল্লিখিত সড়ক এলাকা গুলির সবথেকে বাজে এবং বেহাল অবস্থা।

উল্লিখিত সড়ক গুলিতে কার্পেটিংয়ের চিহ্নও অবশিষ্ট নেই। মেটেলিং সহ ইটের সলিং উঠে সড়কের উপর বড়বড় গর্ত হয়ে আছে। সড়কের পাশে নেই কোন জল নিকাশি ড্রেইন। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের উল্লিখিত স্থান গুলিতে হাটুজল দাঁড়িয়ে যায়। বিলুপ্ত হয়ে যায় সড়কের অস্তিত্ব। আর তখন মানুষ চলাচল তো দুরের কথা যানবাহন চালকদের আন্দাজের উপর ভর করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলতে হয়। জলে কাদায় একাকার হয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। কখনো কখনো দ্বিচক্র যান চালককে ওই জমা জলে বাইক নিয়ে নাকানি চুবানি খেতেও দেখা গেছে। বর্ষার মরশুমে প্রতিনিয়ত ওই সড়কে নিত্য যাত্রীদের এবং যানবাহন চালকদের সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।

অথচ ওই সড়কের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্মান সংস্থা এনএইছআইডিসিএলের কর্মকর্তাদের কোন প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। মাস খানেক পরপরই ওই সড়ক সংস্কারের নামে ঠিকেদার নিয়োগ করে দেদার অর্থ খরচ করা হলেও সড়কের বেহাল অবস্থার কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা। মাস কয়েক পূর্বে শেষবার সড়কটির সংস্কার কাজ করা হলেও নির্মান সংস্থার একাংশ প্রকৌশলী, ঠিকেদার ও রাজনেতা ওই ত্রয়ী সঙ্গমে সড়কের অবস্থা যে কে সেই রয়ে গেছে। কয়েকদিন আগে কোন এক রাজনেতার আগমন উপলক্ষে জেসিপি লাগিয়ে গর্ত গুলিতে মাটি চাপা দিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজনেতার যাতায়াতের পথ নিস্কন্টক করে তোলা হয়েছিল। কিন্ত রাজনেতা ফিরে যেতে না যেতেই কয়েক পসলা বৃষ্টিপাতে ওই সাড়ে চার কিলোমিটার সড়ক পুরনো অবস্থায় ফিরে এসেছে। আগামী বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহা ওই সড়ক পথেই নুতন বাজার গ্রামীণ হাসপাতালের নবনির্মিত বাড়ির দ্বারোদঘাটন করতে যাবেন। ফলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সড়কের বেহাল অবস্থা সরজমিনে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন আসা করা যায়। তবে নির্মান সংস্থার তরফে এবারও যে সড়কে জোরাতাপ্পী দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্ত ওই সড়কে নিত্য যাতায়াতকারী ভুক্ত ভোগী মানুষ সুযোগ পেলে মুখ্যমন্ত্রীর নিকট নালিশ জানাতে তৈরি হয়ে আছেন বলে সংবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *